কাঁথি পুরসভার ‘অচলাবস্থা’ নিয়ে শাসকদলকে খোঁচা সৌমেন্দু অধিকারীর। ফাইল চিত্র।
কাঁথি পুরসভার ‘অচলাবস্থা’ নিয়ে এ বার কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা অধুনা বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারী। তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে শাসকদলের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ অভিযোগ তুলেছেন শিশির অধিকারীর পুত্র। পাশাপাশি দাবি তুলেছেন, পুরসভার কর্মীদের বকেয়া বেতন মেটানোর।
সম্প্রতি নেটমাধ্যমে বেতন না পেয়ে কাঁথি পুরসভার কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের ভিডিয়ো (যার সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি) ছড়িয়ে পড়েছিল। সে প্রসঙ্গ তুলে সৌমেন্দুর মন্তব্য, ‘‘কাঁথি পুরসভায় আমার উত্তরসূরিদের বলব, প্রশাসকের দায়িত্ব সামলানো সরকারি মদতে রাষ্ট্রশক্তির অপব্যবহার করে ছাপ্পা ভোট করিয়ে জিতে আসার মতো সহজ নয়। যেমন ভাবেই হোক না কেন আপনারা এই দায়িত্ব পেয়েছেন, তাই দায়িত্ব পালনে সক্রিয় হোন।’’
সেই সঙ্গেই ফেসবুক পোস্টে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই গত বছরের পুরভোটে তৃণমূলের জয়কে নিশানা করে লিখেছেন, ‘কাঁথির মানুষ এদেরকে নির্বাচিত করেননি, কারণ তাঁরা ভোট দিতে পারেননি। তাই এই দায় কাঁথিবাসীর নয়।’’ সৌমেন্দুর দাবি, তিনি পুরপ্রধান থাকাকালীন অতিমারি পর্বে পুরসভা প্রবল আর্থিক সঙ্কটে পড়লেও কর্মীদের বেতন বন্ধ হয়নি।
গত এক বছরে বিদেশযাত্রা থেকে শুরু করে শ্মশান-দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগে সৌমেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। সেই প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলের পুরপ্রশাসকদের উদ্দেশে সৌমেন্দু লিখেছেন, ‘‘একটা বছর তো মিথ্যা মামলা সাজাতেই কাটিয়ে দিলেন। আজ কর্মচারীদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে, কাল যদি নাগরিকদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে তবে তা কারোওর জন্যই মঙ্গল হবে না।’’
ঘটনাচক্রে, কর্মীদের আন্দোলন সমর্থন করেছেন কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর ইনচার্জ তৃণমূলের রিনা দাসও। মঙ্গলবার তিনি বলেন ‘‘আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি এঁদের আন্দোলন যথাযথ। বিক্ষোভকারীরা যে কথা বলছেন সঠিক ভাবে বলছেন। কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান ( সুবলকুমার মান্না) একেবারে অযোগ্য। আমাদের নেত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছি। এই মাসে বেতন দেওয়ার কথা ছিল। বোর্ড মিটিং করলাম। এদের যদি বেতন না দেওয়া হয়, আমরাই আন্দোলনে নামব।’’