এগরায় বিজেপির সড়ক অবরোধ।
বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনার অভিযোগে আইন অমান্য আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল এগরা থানা চত্বরে। শতাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক এগরা শহরে মিছিল করে পুলিশি বাধা টপকে থানার ভিতরে ঢুকে পড়ে। গোটা এগরা থানা কার্যত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দখলে চলে যায়। থানার ভিতরে চলতে থাকে বিক্ষোভ প্রতিবাদ। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থানা থেকে বের করে দিলে এগরা-কাঁথি সড়কে ত্রিকোণ পার্কে পথ অবরোধ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
পথ অবরোধের জেরে কিছু সময়ের জন্য গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবিলম্বে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার-সহ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় বিক্ষোভকারীরা। আইন অমান্য করায় বিজেপি কাঁথি সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী-সহ জনা দশেক বিজেপি কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পটাশপুর ও ভগবানপুরেও একই ঘটনায় বিজেপি কর্মীরা আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করে। বিজেপি কাঁথি সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘হার্মাদ শাসকরা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। রাজ্যে সংখ্যালঘু ভাইয়ের উপর আক্রমণ হচ্ছে।এই সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী।’’
অন্যদিকে রামনগরে বিজেপি কর্মীদের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে পুলিশ এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বচসা হয়। এরপর বেশ কয়েকজন বিএনপি কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় রামনগর থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে রামনগর-২ ব্লকের বিজেপির পশ্চিম মণ্ডল সভাপতি বাপি দাসের অভিযোগ, ‘‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজেপি কর্মীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছিলেন। শাসকদলের মদতে পুলিশ আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। কয়েকজনকে থানায় আটক করে নিয়ে গিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, গত ২২ আঅগস্ট এগরার বরিদা গ্রামে লিয়াকত আলি নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। তাঁকে তৃণমূলের লোকেরা খুন ফেলে বলে অভিযোগ উঠে।