প্রতীকী চিত্র
ফুটবল খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে বোমা ফেটে বিজেপি কর্মী দীপক মণ্ডলের মৃত্যুর চারদিন বাদেও চাপা আতঙ্ক আর উত্তেজনা রয়েছে ময়নার বাকচা-সহ আশপাশের গ্রামে।শনিবার রাতে ওই ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশি টহল অব্যাহত। তা সত্ত্বেও মঙ্গলবার ময়নার বাকচা পঞ্চায়েত এলাকায় দেখা গেল অঘোষিত বনধের ছবি। বাকচার সবচেয়ে বড় বলে পরিচিত বেসিক বাজারে বহু দোকানের ঝাঁপ বন্ধ ছিল। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার অভিযোগ, এলাকায় তৃণমূল করার জন্য বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মীকে দোকান খুলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপির লোকেরা হুমকি দিচ্ছে।
এদিনও নিহত বিজেপি কর্মী দীপকের বাড়ির কাছে খিদিরপুর গ্রামে পুলিশের টহল ছিল। বাকচার প্রায় সর্বত্র বিজেপি কর্মীদের দাপট বলে শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি। তাঁদের দাবি, এদের অনেকেই তৃণমূল কর্মী বসুদেব মণ্ডল খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। বছর খানেক আগে ময়নার বরুণা গ্রামে মেয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে খুন হন বাসুদেব মণ্ডল। তার পর থেকে শুধু বাকচা পঞ্চায়েত এলাকাতেই প্রায় একশো জন তৃণমূল কর্মী ‘ঘরছাড়া’। ময়নার ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুব্রত মালাকার বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় আমাদের বহু কর্মী ঘরছাড়া। তাঁদের ফেরানোর জন্য জেলার পুলিশ সুপারের পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’ তাঁর অভিযোগ, সোমবার থেকে বাকচা বেসিক বাজারে দলীয় কর্মীদের দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাদের বিজেপির কর্মসূচিতে যেতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘যারা এক সময় এলাকার মানুষের উপর অত্যাচার করেছে তারাই এখন ঘরছাড়া। আর যারা অন্যায় করেছে বলে ভয় পেয়েছে, তারাই দোকান খোলার সাহস দেখাচ্ছে না। তৃণমূলের এ সব অভিযোগ হাস্যকর।’’