তৃণমূলের জয়ের মাঝেই পূর্বে মাথা তুলছে বিজেপি

একদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তিন পুরসভাতেই তৃণমূলের নিরঙ্কুশ জয়। অন্য দিকে বিরোধী শিবিরে সিপিএম, কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে বিজেপির উত্থান ঘটল তমলুক ও এগরা পুরসভায়। এই প্রথম এককভাবে তমলুক পুরসভার একটি আসনে রাজ্যের শাসক তৃণমূলের কাউন্সিলরকে হারিয়ে জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী। আর পুরসভার আরও চারটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক ও এগরা শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০৭
Share:

জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে এগরায় উন্মাদনা।

একদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তিন পুরসভাতেই তৃণমূলের নিরঙ্কুশ জয়। অন্য দিকে বিরোধী শিবিরে সিপিএম, কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে বিজেপির উত্থান ঘটল তমলুক ও এগরা পুরসভায়। এই প্রথম এককভাবে তমলুক পুরসভার একটি আসনে রাজ্যের শাসক তৃণমূলের কাউন্সিলরকে হারিয়ে জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী। আর পুরসভার আরও চারটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে বিজেপি। এগরা পুরসভাতেও পুরপ্রধানকে হারিয়ে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী। শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারীর খাস তালুকে দুই পুরসভায় বিজেপি’র আসনলাভ রাজনৈতিক মহলে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

Advertisement

এ বার পুরসভা নির্বাচনের ফলে আসন সংখ্যার নিরিখে তমলুক পুরসভায় ২০টির মধ্যে ১৬ টি জয় হয়েছে তৃণমূলের। গতবারের ১৩ টি আসনের চেয়ে তিনটি আসন বেশি। কিন্তু এবার অধিকাংশ তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। অন্য দিকে পুরসভায় গতবার বিরোধী শিবিরে থাকা বামফ্রন্টের তিনটি আসনই এ বার হাতছাড়া হয়েছে। একইভাবে কংগ্রেসের দুটি আসনও হাতছাড়া হয়েছে। সেই জায়গায় বিরোধীর স্থান করে নিয়েছে লক্ষ্মণ শেঠের নেতৃত্বাধীন ভারত নির্মাণ পা র্টি ও বিজেপি।

পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী কাউন্সিলর শিখা মাইতিকে হারিয়ে বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দত্তের জয় ছাড়াও ১, ১২ ১৬ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। এবার পুরসভার নির্বাচনে তমলুকে এককভাবে পুরবোর্ড গড়ায় আত্মবিশ্বাসী ছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল । পুরসভার ফলাফলে প্রত্যাশানুযায়ী এককভাবে ১৬ টি আসনে জিতে ফের নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল। আর বিরোধীরা জিতেছে মাত্র ৪ টি আসনে।

Advertisement

জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে তমলুকে উন্মাদনা।

গত বার যেখানে পূর্বে বিজেপির একটিও আসন ছিল না, সেখানে দুই পুরসভায় আসনের কারণ কী?

বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, লোকসভা ভোটের ফলের ছায়া ফেলেছে পুরভোটের ফলে। আর তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে বাসিন্দারা বিজেপিকেই বেছে নিচ্ছেন। বিজেপি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাস বলেন, ‘‘তমলুক পুরসভায় আমাদের দলের একটি আসনে জয়লাভ ছাড়াও চারটি আসনে আমাদের প্রার্থীরা দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে । তবে পুরসভায় আমাদের প্রত্যাশামত ফল হয়নি। গত লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে তমলুক পুরসভায় আমাদের শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে।’’

জেলার তমলুক ও এগরা পুরসভায় বিজেপি’র আসন পাওয়ায় শক্তি বৃদ্ধির দাবি নস্যাৎ করে শুভেন্দুবাবু এ দিন বলেন, ‘’ বিরোধী শিবিরে থাকা বিজেপি, সিপিএম ভোট ভাগাভাগি করেছে। যার ফলে কোথাও সিপিএম বিজেপিকে আবার কোথাও বিজেপি সিপিএমকে ভোট দিয়েছ । এটা বিজেপি’র নিজস্ব ভোট নয়।’’

সিপিএম-বিজেপি ভোট ভাগাভাগির অভিযোগ অস্বীকার করে সুকুমার বলেন, ‘‘আমাদের দলের প্রার্থীদের প্রতি সাধারন মানুষ আগের চেয়ে বেশী সমর্থন করতে এগিয়ে এসেছে । বিজেপি প্রার্থীকে সিপিএমের কেউ সমর্থন করেনি। বরং সিপিএমের লোকেরা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে বলেই আমাদের আশানুরূপ ফল হয়নি।’’

—নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement