প্রতীকী ছবি।
আগে সভা করার জন্য মাঠ পেতে ব্যর্থ হতে হয়েছে। এবার তাই জনসভার জন্য জমি চেয়ে রেলের কাছে আবেদন জানাল বিজেপির সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব। আগামী ২১ নভেম্বর রামনগরে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সভা করতে দেওয়ার ব্যাপারে বৃহস্পতিবার প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীরর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর ‘গড়ে’ জনসমর্থন বাড়ানোর লক্ষ্যে চলতি মাসে তিনটি বড় কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। মেচেদায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের উপস্থিত থাকার কথা। তমলুকে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের আসার কথা। একই ভাবে ২১ নভেম্বর রামনগরে মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীর আসার কথা। ওই দিন কাঁথি সাংগঠনি চসে আসতে পারেন ক জেলার বিরোধী রাজনৈতিক দলের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ‘মুখ’ গেরুয়া পতাকার তলায় চলে আসতে পারেন বলে জেলা বিজেপি সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে। মূলত তাঁরাই এই সভার আয়োজন করছেন।
জেলা বিজেপি সূত্রে খবর, প্রথমে রামনগর আরএসএ ময়দানে সভা করতে চেয়েছিল তারা। বৃহস্পতিবার সেখানেই সমবায়ের ব্যানারে ‘মেগা শো’ করবেন শুভেন্দু। সভা শেষে মঞ্চ এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে যেতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে।সে জন্য বিকল্প হিসাবে রামনগরের বালিসাইতে সভার জন্য আর একটি মাঠ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু শেষে তাও বাতিল হয়। শেষ পর্যন্ত কাঁথি সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে রামনগর রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সভার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানাো হয়েছে।
শনিবারের সভায় কারা কারা থাকবেন তা চূড়ান্ত করতে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের। দলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রেলের কাছ থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই ২১ নভেম্বরের কর্মসূচি সম্পর্কে জেলা প্রশাসনকে জানানো হবে। তবে সভায় কেন্দ্র এবং রাজ্যের কোন কোন নেতা থাকবেন তা বৃহস্পতিবার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে চূড়ান্ত হবে।’’