বন্ধে সচল যানবাহন। নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি নেতা চন্দন মাইতি (৩৭) ওরফে শম্ভুকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় তৃণমূলের ৩৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল মৃতের পরিবার। খুনে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে চন্দনের দেহ বাড়ির সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখান তাঁর পরিবারের সদস্য এবং বিজেপি সমর্থকরা। খুনের প্রতিবাদে সোমবার সকাল ছ’টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত ভগবানপুর বন্ধের ডাক দেওয়া হয়। যদিও নিজের খাস তালুকে বনধের সাড়া ফেলতে বিজেপি ব্যর্থ বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি।
সোমবার সকাল থেকেই রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক ছন্দে ছিল। বাজারঘাটও আর পাঁচটা দিনের মতোই সচল ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে বিজেপি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুণ নায়েকের দাবি, ‘‘এলাকার মানুষ আজ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই বন্ধের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। তবে বেলা ২টোর পর ব্যবসায়ীদের অনুরোধে বাজার খুলে দেওয়া হয়েছে।’’ নবারুণের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের কিছু স্থানীয় দুষ্কৃতী ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে, ‘বিজেপির আরও কয়েক জনকে এ ভাবেই নিকেশ করে দেওয়া হবে।’ বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার ভগবানপুরের মহম্মদপুরে যাবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও ঘটনাস্থলে যেতে পারেন।’’
গত শনিবার রাত আটটা নাগাদ চন্দনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক দল দুষ্কৃতী পিটিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। রবিবার তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের পর মোমবাতি মিছিল করে চন্দনের দেহ বাড়িতে আনা হয়। প্রায় ১২ ঘণ্টা দেহ বাড়ির সামনে রেখে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে সোমবার দুপুরে দেহ সৎকার করা হয়।
তৃণমূল অবশ্য নিজেদের অবস্থানে অনড়। তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস বলেন, ‘‘ওই এলাকায় কোনও রাজনৈতিক উত্তেজনা নেই। চন্দনের মৃত্যুর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বার করুক। এই নিয়ে বিজেপি অযথা রাজনীতি করছে।’’