নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে একই দেওয়ালে তৃণমূল প্রার্থী রমাপ্রসাদ গিরির প্রচার। দাঁতনে। নিজস্ব চিত্র
তাঁরা ‘দলে’ও আছেন, আবার আছেন ‘দলের বাইরে’ও!
কোনও আসনে তাঁরা ভোটে লড়ছেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে, আবার অন্য আসনে তাঁরাই প্রচার করছেন তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে!
দাঁতন-২ ব্লকের সাবরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টি আসনের সবক’টিতে তৃণমূল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দিয়েছে দলেরই একাংশ বিক্ষুব্ধ। ওই অঞ্চলের পঞ্চায়েত সমিতির ৩টি আসনেও রয়েছেন নির্দল প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রচারও করছেন তাঁরা। কিন্তু জেলা পরিষদ আসনে তাঁরাই আবার প্রচার করছেন তৃণমূল প্রার্থী রমাপ্রসাদ গিরির সমর্থনে।
সাবরা অঞ্চলে দেওয়ালে তাই নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গেই জ্বলজ্বল করছে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জেলা পরিষদে দলের প্রার্থী রমাপ্রসাদ গিরির নামও। এলাকার একটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে নির্দল প্রার্থীদের নেতৃত্বে থাকা ইপ্তেকার আলি অভিযোগ করছেন, “আমরা এই এলাকায় দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে চাইছি। কিন্তু ব্লকের কয়েকজন নেতা দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রার্থী করেছেন। আর আমরা তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়েছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে আমরা নির্দল প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করছি। কিন্তু জেলা পরিষদে আমরা তৃণমূল প্রার্থীর হয়েই প্রচার করে বুঝিয়ে দিচ্ছি আমরাই দলের অনুগত সৈনিক।”
সাবরার অন্য একটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের নির্দল প্রার্থী অঞ্জন গিরির দাবি, “ব্লকের একাংশ দুর্নীতিপরায়ণ নেতার ষড়যন্ত্রে আমরা দলের প্রতীক পাইনি। কিন্তু জেলা পরিষদে তৃণমূলের প্রার্থী রমাপ্রসাদ গিরি যোগ্য প্রার্থী। তাই রমাদার অনুমতি নিয়েই আমরা ওর হয়ে
প্রচার করছি।”
এই প্রচারে অবশ্য ‘খারাপ’ কিছু দেখছেন না জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী রমাপ্রসাদ। তিনি বলছেন, “ওই নির্দলদের জেলা পরিষদে প্রার্থী নেই। তাই ওঁরা আমার হয়ে প্রচার করছে। আমি তো প্রার্থী হিসাবে চাইব সকলেই আমাকে সমর্থন করুক। তাই কেউ যদি আমাকে ভোট দিতে চায় তবে আপত্তির প্রশ্নই নেই।”
শুধু দাঁতন নয়, সবং, ডেবরার অনেক আসনেও ছবিটা কমবেশি একই। ডেবরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল প্রার্থী রামকৃষ্ণ অধিকারী বলছেন, “আমরা দলকে ভালবাসি। তাই দলের জেলা পরিষদ প্রার্থী মুনমুন সেন ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী জারিনা বিবির হয়েও প্রচার চালাচ্ছি।”