প্রতীকী ছবি।
পশ্চিম মেদিনীপুরে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ৯ হাজারেরও বেশি প্রার্থী। সবথেকে বেশি মনোনয়ন দিয়েছে শাসক দল তৃণমূলই। বিরোধীদের মধ্যে বেশি মনোনয়ন দিয়েছে বিজেপি। মনোনয়নের এই ছবিটা নতুন সমীকরণেরও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বামেদের পিছনে ফেলে জেলায় ধীরে ধীরে প্রধান বিরোধী দলের জায়গা নিচ্ছে গেরুয়া-শিবির।
যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, “বিজেপিকে নিয়ে ভাবার কোনও কারণ নেই। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন।” বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশের অবশ্য দাবি, “সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তৃণমূলকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে মোট ৩,৭০২টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে জেলা পরিষদের ৫১টি, পঞ্চায়েত সমিতির ৬১১টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩,০৪০টি। জেলা পরিষদের ৫১টি আসনে বিজেপি ৫০টি, সিপিআই ৩টি, সিপিএম ৫৫টি মনোনয়ন দিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির ৬১১টি আসনে বিজেপি ৪২৩টি, সিপিআই ৩০টি, সিপিএম ২৮৮টি মনোনয়ন করেছে। অন্য দিকে, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩,০৪০টি আসনে বিজেপি ২,০৫৫টি, সিপিআই ৮৬টি, সিপিএম ৮৩৯টি মনোনয়ন করেছে।
মে মাসের প্রথম দিনেই জেলায় নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দেওয়ায় তড়িঘড়ি প্রার্থী চূড়ান্ত করতে নাজেহাল অবস্থায় পড়ে কমবেশি সব দলই। জেলা তৃণমূলের এক নেতার স্বীকারোক্তি, “হঠাৎ নির্বাচন ঘোষণা হওয়ায় সমস্ত দলই সমস্যায় পড়েছে। সমস্যা বেশি হয়েছে সংরক্ষিত আসন নিয়েই।” বিজেপি যে জেলায় প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে উঠছে, সেই ইঙ্গিত আগেই মিলতে শুরু করেছিল। সবং উপ-নির্বাচনেও গেরুয়া-শিবিরের ভোট অনেকটা বাড়ে। বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি ছিল, জেলায় এখন বিজেপিই বিকল্প। সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, “আমাদের লড়াই তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির বিরুদ্ধে। সন্ত্রাস চলছে। এরমধ্যেও আমরা লড়াইয়ের ময়দানে আছি।”