মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা অভিযোগ শুনে পাল্টা বিজেপিকে এক হাত নিয়েছেন। — নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন দলীয় সাংসদ-বিধায়কেরা। রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা অবশ্য সে রকম পরিস্থিতিতে পড়েননি। পাল্টা বিজেপিকে এক হাত নিয়েছেন। কেন অর্ধেক কাজ করে বোর্ড লাগানো হয়েছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। বিজেপি পাল্টা আঙুল তুলেছে তৃণমূলের দিকেই।
শুক্রবার বীরবাহা গিয়েছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার বাঁধগোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নলবনা এলাকায়। মাটিতে পাতা আসনে বসেই গ্রামবাসীদের অভাব-অভিযোগ শোনেন। খাতায় লিখেও নেন সেই অভিযোগ। গ্রামবাসীরা বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা-সহ বিভিন্ন সমস্যার কথা বলেন।
নলবলা সাব সেন্টার থেকে প্রাথমিক স্কুল পর্যন্ত রাস্তা হওয়ার কথা ছিল। সে জন্য অর্থ বরাদ্দ হয় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে বলে একটি বোর্ড লাগানো হয়েছে। কিন্তু আদতে অর্ধেক রাস্তাই হয়েছে। গ্রামের বাসিন্দা দ্বিজেন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, ‘‘রাস্তা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অর্ধেক হওয়ার পর সেই কাজ বাকি রেখে দেওয়া হয়। বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা জানায়, পরে করবে।’’ মন্ত্রী বীরবাহা বলেন, ‘‘কাজ কেন শেষ হয়নি, তা বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের কাছে জানতে চাওয়া হবে। এর উত্তর দিতে হবে। মানুষের পাশে রয়েছে তৃণমূল। সেজন্য মানুষের সমস্যার কথা বলা হবে।’’
অন্য দিকে, বিজেপি জেলা সভাপতি তুফান মাহাতো বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত বিজেপির পরিচালনাতে থাকলেও এক-দেড় বছর হল প্রধানের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করেছে তৃণমূল। তার পর প্রার্থী ভাঙিয়ে নিয়ে বোর্ড দখল করেছে। তা ছাড়া পঞ্চায়েতের কাজের অনুমতি বিডিও অফিস থেকে হয়। তৃণমূল কাজ করার সুযোগ দিলে অবশ্যই কাজ শেষ করতে পারত বিজেপি।’’