বাম -কংগ্রেস জোট প্রার্থীর সমর্থনে মিছিলে যোগ দেওয়া এক কংগ্রেস সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ময়না থানার বাকচা এলাকার আড়ংকিয়ারানা গ্রামে গত রবিবার রাতে এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক তৃণমূল সমর্থককে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই একই ঘটনায় তৃণমূলের তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এক সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করেছে।
গত রবিবার বিকেলে ময়না বিধানসভার বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী মানিক ভৌমিকের সমর্থনে শ্রীরামপুর থেকে ময়নার বিডিও অফিস পর্যন্ত মিছিল হয়েছি । মিছিলে এসেছিলেন ময়নার আড়ংকিয়ারানা গ্রামের বাসিন্দা কংগ্রেস সমর্থক অজয় মণ্ডল। মিছিল থেকে ফেরার পর রাতে অজয়বাবুর বাড়ির কাছে স্থানীয় কিছু তৃণমূল সমর্থক সেখানে চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। অজয়বাবুর স্ত্রী ওই মারধরের ঘটনায় জড়িত স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল সমর্থকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
একই ঘটনায় তৃণমূলের তরফেও তাঁদের দল সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করার জন্য কংগ্রেস ও সিপিএমের কয়েকজন সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর ময়না থানার পুলিশ অজয়বাবুকে মারধরের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে তৃণমূল সমর্থক স্বপন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে সিপিএম সমর্থক মানস মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। বুধবার তাঁদের তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন।
দুই সিপিএম সমর্থককে ঘরে ঢুকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জখম দুই সিপিএম সমর্থকের মধ্যে সুকুমার দেবনাথ নামে একজন হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর শঙ্কর দেবনাথ নামে আরেক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পর তৃণমূলের ন’জনের নামে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম। সিপিএমের জেলা নেতা শ্যামল মাইতির অভিযোগ, ‘‘প্রচারের কাজ সেরে বাড়িতে যখন খাচ্ছিলেন সুকুমার। তখনই তৃনমূলের বাইক বাহিনী বাড়িতে ঢুকে লাঠি দিয়ে মারধর করে।’’ তৃণমূলও পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছে থানায়। তৃণমূল নেতা আজিজুর রহমান বলেন, ‘‘শঙ্কর আমাদের সমর্থক। শঙ্করকে সিপিএমের লোকজন মেরে নিজেদের সমর্থক বলে চালাতে চাইছে।’’ হলদিয়ার ভবানীপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।