এই জায়গাতেই পাওয়া যায় বৃদ্ধের পোড়া দেহ। — নিজস্ব চিত্র।
এক বৃদ্ধের মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের রানিচক এলাকা। বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকা থেকে উদ্ধার হয় নন্দলাল মণ্ডল নামে এক বৃদ্ধের পোড়া দেহ। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০৫ বছর। নন্দলালের দেহের পাশে মিলেছে একটি চিরকুট। আর ওই চিরকুট নিয়েই রহস্য দানা বেঁধেছে। নন্দলালকে কেউ পুড়িয়ে খুন করল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে রানিচকের এলাকার রাস্তার ধারে একটি ফাঁকা গ্যারাজে নন্দলালের পোড়া দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তখনও দেহ থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ওই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। নন্দলালের দেহের পাশে মিলেছে একটি চিরকুট। যাতে লেখা ‘পাপের প্রায়শ্চিত্ত’। আর এই চিরকুট ঘিরেই নন্দলালকে খুনের তত্ত্ব দানা বেঁধেছে। ওই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
নন্দলালের ছেলে শ্যামসুন্দর মণ্ডল বলেন, ‘‘বাবা প্রতি দিন ভোর ৫টা নাগাদ হুইল চেয়ারে বাজারে যেতেন। সেখান থেকে ৭টা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসতেন। কিন্তু আজ তিনি কখন বেরিয়েছিলেন তা জানি না। ১০৫ বছরের বৃদ্ধকে কে খুন করল? ওঁর তো কোনও শত্রু ছিল না।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের সম্পত্তি বছর পনেরো আগে ছেলেদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছিলেন নন্দলাল। তাঁর বাড়িতেও কোনও সমস্যা ছিল না বলে প্রতিবেশীদের দাবি। স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ দোলই বলেন, ‘‘কী করে এটা হল তা বুঝতে পারছি না। উনি প্রতি দিন বাজারে যেতেন। বাড়িতে বা বাইরে কারও সঙ্গে কোনও দিন কোনও গন্ডগোল দেখিনি।’’