পিকনিক জমে উঠেছে কাঁসাইয়ের তীরে। —নিজস্ব চিত্র।
করোনা কাঁটাকে দূরে সরিয়ে বড়দিনের উৎসবে পিকনিকে অংশ নিলেন মেদিনীপুর জেলার মানুষজন। লকডাউন পর্ব কাটিয়ে আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই কমছে। বৃহস্পতিবার সবমিলিয়ে মোট ২২ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ফলে কোভিড নিয়ে ভীতি কমতে শুরু করেছে। তাই বড়দিনের উৎসবে শামিল হতে পিছপা হলেন না সাধারণ মানুষ। অন্য বছরের তুলনায় ভিড় কিছুটা কম হলেও, বহু মানুষই উৎসবের আমেজে গা ভাসিয়েছেন।
কাঁসাই নদীর পাড়ে এ দিন সপরিবারে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন এক সরকারি কর্মী। তিনি জানান, করোনা পর্বে একটানা ঘরবন্দি ছিলেন। তাই বড়দিনে সবাই মিলে পিকনিক করতে এসেছেন। বাড়ি থেকেই বাসনপত্র ও গ্যাস ওভেন নিয়ে এসে নিজেরাই রান্নাবান্না সারছেন তাঁরা। চারপাশে সান্তাক্লজদের আনাগোনায় মেতে কচিকাঁচারাও মেতে রয়েছে। সান্তার কাছ থেকে চকোলেট, কেক, বেলুন পেয়ে যারপরনাই খুশি সকলে।
তবে শুধু কাঁসাই নদীর তীরেই নয়, কাঁসাই নদী রেল ব্রিজ, বাস ব্রিজ, ডিএভি পার্ক, গোপগড় ইকো পার্ক, মন্দিরময় পাথরা, চন্দ্রকোনা রোডের পরিমল কানন, চন্দ্রকোনা বায়োডাইভার্সিটি পার্ক, গড়বেতা গনগনি, দাসপুর পার্ক, কেশিয়ারি পার্ক, খড়গপুর হিজলি পার্ক-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বড়দিনে মানুষের ভিড় ছিল দেখার মতো।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পিকনিক স্পটগুলিতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। একই সঙ্গে মোটর বাইকে সাদা পোশাকের পুলিশও টহল দিচ্ছিল সর্বত্র। এ বারে বড়দিনের উৎসবে মেদিনীপুর শহরে গির্জায় ও চার্চে বিশেষ প্রার্থনা সভা হলেও মেলা হচ্ছে না। তাতে কিছুটা মন খারাপ হলেও করোনা আতঙ্কে বিষয়টি মেনে নিয়েছেন শহরবাসী।