প্রতীকী ছবি
বিধবা ভাতা ও বার্ধক্য ভাতার ফর্ম বিলিতে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠল কোলাঘাট ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৭ সালে কোলাঘাট ব্লকের অধীন সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বিধবা ভাতা ও বার্ধক্য ভাতার আবেদন জমা নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সেই আবেদনপত্রগুলি সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে পুনর্মূল্যায়নের জন্য পাঠায় কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতি। অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির একাংশ বিরোধী দলের আবেদনপত্রগুলি বাদ দিয়ে নিজেদের দলের কর্মীদের মধ্যে বিধবা ভাতা ও বার্ধক্যভাতার নতুন ফর্ম বিলি করতে শুরু করেছে। বিরোধী দলের আবেদনকারীদের কোনও ফর্ম দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পুলশিটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দেউলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সন্দীপ মানিক অভিযোগ করেন, ‘‘২০১৭ সালে আমার মা ঝর্না মানিক বিধবা ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। আজও আমার মায়ের ভাতা চালু হয়নি। অথচ ওই সময় আবেদনকারীদের অনেকেই এখন ভাতা পাচ্ছেন। তা ছাড়া নতুন করে ফর্ম বিলি করা হলেও আমার মাকে কোনও ফর্ম দেওয়া হয়নি। আমি বিজেপি করি বলেই আমার পরিবারের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করা হয়েছে।’’
বুধবার বিষয়টি নিয়ে কোলাঘাটের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দা তথা বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি শেখ সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘শাসক দলের নেতারা নিজেদের দলের লোকদের বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতার ফর্ম দিচ্ছেন। অথচ বিরোধীদের দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের দলের অনেকেই আগে ভাতার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের ভাতা চালু হয়নি। এই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিডিওর কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছি।’’
কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন ঘড়া বলেন, ‘‘বিজেপির এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিধবা ও বার্ধক্য ভাতার জন্য যে সব আবেদন জমা পড়েছিল সেগুলির সত্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। যাঁরা উপযুক্ত তাঁদের কারও আবেদন বাতিল হবে না।’’
কোলাঘাটের বিডিও মদন মণ্ডল বলেন, ‘‘বিধবা ভাতা ও বার্ধক্য ভাতার জন্য আগের আবেদনপত্রগুলির তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে। নতুন করে কাউকে ফর্ম দেওয়া হচ্ছে না। তাই এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’