মেদিনীপুর কলেজ মোড়ে নেতাজি মূর্তিতে শ্রদ্ধা তৃণমূল। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
পঞ্চায়েত নির্বাচন দোরগোড়ায়। তার আগে এবারের ২৩ জানুয়ারি সুভাষ আবেগে শান দিল প্রায় সব রাজনৈতিক দল।
মেদিনীপুর কলেজের সামনে সুভাষচন্দ্র বসুর পূর্ণাবয়ব মূর্তি রয়েছে। সোমবার সকালে তৃণমূলের উদ্যোগে তাতে মাল্যদান করা হয়। ছিলেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা, জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি, শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব, পুরপ্রধান সৌমেন খান প্রমুখ। সুজয় বলেন, ‘‘দলীয় উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় দিনটি পালন করা হয়েছে।’’ ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, দাসপুর, গড়বেতা, খড়্গপুর মহকুমার ব্লকগুলিতেও তৃণমূলের উদ্যোগে দিনটি পালন করা হয়। অনেক জায়গায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতেও নেতাজি জয়ন্তী পালিত হয়। রবিবার গড়বেতার পিয়াশালা অঞ্চলে তেমনই এক কর্মসূচিতে ছিলেন বিধায়ক উত্তরা সিংহ। সবংয়ে সুভাষচন্দ্রের ছবিতে মালা দিয়ে তাঁর দেশপ্রেম তুলে ধরে আলোচনা করে তৃণমূল। সবং ব্লক তৃণমূল সভাপতি আবু কালাম বক্স দাবি করেন, ‘‘নেতাজি দেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন, আর এখন দেশের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। একশো দিনের প্রাপ্য টাকাও দিচ্ছে না কেন্দ্র। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে আমরা কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণের কথা তুলে ধরব।’’
বিজেপির পক্ষ থেকে মেদিনীপুরে এদিনের কর্মসূচিতে ছিলেন দলের রাজ্য সহ সভাপতি শমিত দাস, জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায়, জেলা সহ সভাপতি অরূপ দাস, শঙ্কর গুছাইত প্রমুখ। চন্দ্রকোনা রোডের কিয়াবনিতে শঙ্করকাটা অঞ্চলের কর্মী সম্মেলনে নেতাজির ছবিতে মাল্যদান করেন জেলা বিজেপি সভাপতি তাপস মিশ্র, জেলা সম্পাদক গৌতম কৌড়ি-সহ অনেকেই। মেদিনীপুর শহরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) নেতাজি জয়ন্তী পালন করে। সঙ্ঘের উদ্যোগে পদযাত্রায় শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। ঘাটাল ও খড়্গপুর মহকুমার ব্লকগুলিতেও বিজেপির পক্ষ থেকে দিনটি পালন করা হয়। খড়্গপুর শহরে তৃণমূল ও বিজেপি উভয় দলই কর্মসূচি নিয়েছিল। মেদিনীপুর শহরে আম আদমি পার্টির (আপ) কার্যালয়েও সুভাষ স্মরণ হয়েছে।
মেদিনীপুর শহর পূর্ব এসএফআই-ডিওয়াইএফ লোকাল কমিটির উদ্যোগে অলিগঞ্জে ডাক শ্রমিক ভবনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। ডিওয়াইএফ নেতা সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নেতাজির জন্মদিন তথা দেশপ্রেম দিবসে রক্তদান শিবির হয়েছে।’’ শালবনি, কেশপুরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সুভাষ স্মরণ হয়েছে। দিনটি পালন করেছে কংগ্রেসও। গড়বেতা বিধানসভা কেন্দ্র যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অসীম পালের উদ্যোগে নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদান করে দরিদ্রদের কম্বল বিতরণ করা হয়।
ছবিটা একই ছিল ঝাড়গ্রামেও। জামবনি ব্লকের শাবলমারা এলাকায় বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদার উদ্যোগে দিনটি পালিত হয়েছে। শাসকদলের ঝাড়গ্রাম জেলা বাস পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে নেতাজি জয়ন্তীতে ৫০ জন পুরনো তৃণমূল কর্মীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মানিকপাড়াতেও তৃণমূল নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানায়। বিজেপির পক্ষ থেকেও জেলার প্রত্যেক মণ্ডলে দিনটি পালন করা হয়। দলের জেলা সহ সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডু বলেন, ‘‘মণ্ডলের পাশাপাশি অঞ্চল স্তরেও দিনটি পালন করা হয়।’’