ফাইল চিত্র।
দিন কয়েক আগে নন্দীগ্রামে এ কৃষি আধিকারিককে মারধরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের হরিপুর কৃষক বাজারে ধিক্কার সভার আয়োজন করেছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। সেই সভায় এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘লোডশেডিং এমএলএ’ বলে সম্বোধন করলেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি।
এদিন দুপুরে ধিক্কার সভায় মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি ছাড়াও ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান বিপ্লব রায়চৌধুরী, তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল, শহিদ মাতা বিধায়ক ফিরোজা বিবি, রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের জেলা কমিটির সভাপতি শ্যামল পট্টনায়েক প্রমুখ। উল্লেখ্য, ২৬ নভেম্বর কৃষিজ বীজ বন্টনে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে হরিপুর কৃষক বাজারে কৃষি দফতরে স্মারকলিপি দিতে যান হরিপুর পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ-প্রধান সহ শতাধিক গ্রামবাসী। স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার সময় কৃষি আধিকারিককে মারধর ও হেনস্থার অভিযোগ ওঠে হরিপুর পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ একাধিক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। কৃষি আধিকারিককে মারধরের প্রতিবাদে এ দিন হরিপুর কৃষক বাজারে ধিক্কার সভার আয়োজন করে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি।
সেখানেই অখিল বলেন, ‘‘বিজেপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। সব জায়গাতেই ভোটে হারছে। নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতৃত্বের বাড়িতে সিবিআই দিয়ে ভয় দেখাতে চাইছে বিজেপি। সেদিন স্মারকলিপি দেওয়া নয়, সরকারি কর্মীকে মারধর করাই উদ্দেশ্য ছিল বিজেপির।’’