Egra

বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি, সাত দিন পর এগরার যুবকের আধপোড়া দেহ মিলল গ্রামেরই ঝোপে!

বুধবার সকালে কইথোড় এবং রামচন্দ্রপুর গ্রামের মাঝামাঝি একটি ধানজমির পাশে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ পেয়ে তার উৎস খুঁজছিলেন স্থানীয়রা। তার পর চমকে ওঠেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

এগরা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৪:০৭
Share:

সাত দিন পর ২০ বছর বয়সি যুবকের দেহ মিলল ঝোপে! —প্রতীকী চিত্র।

সপ্তাহখানেক ধরে নিখোঁজ ছিলেন ২০ বছরের বিকাশ দে। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন— কারও বাড়িতে খোঁজ মেলেনি তাঁর। অবশেষে তাঁকে পাওয়া গেল। তবে মৃত অবস্থায়। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় একটি ঝোপের ভিতর থেকে যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার বেলার দিকে যে এলাকায় বিকাশের বাড়ি, সেখানকারই একটি মাঠ লাগোয়া ঝোপের ভিতর থেকে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিকাশের বাড়ি এগরার কইথোড় গ্রামে। পুলিশ এ-ও জানিয়েছে, কী ভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে তা পরিষ্কার নয়। তবে যুবকের দেহ আধপোড়া ছিল।

স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ১৭ নভেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি বিকাশ। তার পর থেকে কোথাও ওই যুবকের খোঁজ মিলছিল না। বুধবার সকালে কইথোড় এবং রামচন্দ্রপুর গ্রামের মাঝামাঝি একটি ধানজমির পাশে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ পেয়ে তার উৎস খুঁজছিলেন স্থানীয়রা। একটি জায়গায় অর্ধদগ্ধ এবং পচা শরীর দেখতে পান তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। প্রথমে ওই পচাগলা দেহ দেখে যুবকের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। পরে বিকাশের পরিবারের লোক জন ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা মৃতের পরনের পোশাক দেখে দেহ শনাক্ত করেন।

Advertisement

মৃতের দাদা সুভাষ দের কথায়, “দিন কয়েক ধরে ভাই নিখোঁজ ছিল। ওর কোনও শত্রু ছিল বলে আমাদের অন্তত জানা নেই। কী ভাবে ও মারা গেল, কিছুই বুঝতে পারছি না।’’ তিনি এই ঘটনায় জড়িত দোষীদের শাস্তির দাবি জানান। এগরা থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে এই মৃত্যু হল, তা পরিষ্কার নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে কারণ জানা যাবে।’’ পুলিশ জানায়, মৃতের পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ পেলে সেই মতো তদন্ত এগোবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement