১৯৮৯ সালে জন্ম নিয়েছে নীনা গুপ্ত আর ভিভ রিচার্ডসের মেয়ে মাসাবা। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের একের পর এক ছবিতে ভাল কাজ করছেন অভিনেত্রী নীনা গুপ্ত। ‘গুডবাই’ এর পর ‘উঁচাই’। ২০২২ সালে দু’টি ছবি মুক্তি পেল নীনা গুপ্তের। তাঁর অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনুরাগীরা। নিজের ব্যক্তিগত জীবন ও সম্পর্ক নিয়ে সব সময় অকপট তিনি। নিজের জীবন কাহিনি তুলে ধরেছেন ‘সচ কহুঁ তো’ বইতে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নীনা তাঁর জীবনের নানা ওঠাপড়ার মাঝে মেয়ে মাসাবাকে কী ভাবে একা হাতে বড় করেছেন, সেই নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন।
আটের দশকে ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে প্রেম জমে উঠেছিল নীনার। ভিভ তখন বিবাহিত। দুই সন্তানের বাবা। প্রেমের শুরুর দিকে ভারতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল ভিভের। তবে কোনও দিনই সেই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। ১৯৮৯ সালে জন্ম নিয়েছে নীনা গুপ্ত আর ভিভ রিচার্ডসের মেয়ে মাসাবা। সাক্ষাৎকারে নীনা বলেন, ‘‘আমি অন্তঃসত্ত্বা শুনে বেশ খুশি হয়েছিলাম। ভিভকে ফোন করে খবরটা জানাই। আমি তাকে এ-ও জানাই যে তার ইচ্ছে না থাকলে আমি এই বাচ্চা রাখব না। ভিভ আমায় বলেছিল আমি সন্তানটিকে পৃথিবীতে আনলে ও খুশিই হবে। ভিভ তখন বিবাহিত ছিল তাই আমার আর ভিভকে বিয়ে করা হল না।’’
নীনা আরও বলেন, ‘‘আমি সন্তানের জন্ম দিতে চাই শুনে আবার বাবা বা দাদা কেউ-ই আমার এই সিদ্ধান্তের সমর্থন করেননি। তবে মাসাবা আমার জীবনে আসার পর আমার বাবাই আমায় সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে উঠেছিল।’’
নীনা বলেন, ‘‘আমি তখন ভালবাসায় অন্ধ ছিলাম, বয়সও কম ছিল। একা হাতে মাসাবাকে মানুষ করা মোটেই সহজ ছিল না। তবে আমি এমন এক জন মানুষ যে মনে মনে যা নিশ্চিত করে নিই, তা করেই ছাড়ি। মাসাবার জন্য আমি কোনও দিনও কারও কাছে কোন রকম আর্থিক বা মানসিক সাহায্য চাইনি।’’
৬৩ বছর বয়সি অভিনেত্রী এখন দিল্লির চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বিবেক মেহরার স্ত্রী। নিজের বিবাহিত জীবন সম্পর্কে নীনা বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি না যে এক জন পুরুষ এবং এক জন মহিলার মধ্যে প্রেম বলে কিছু হয়। আমি মনে করি শুরুর দিকে একে অপরের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। তার পরে একে অপরের প্রতি আসে স্নেহ, ধীরে ধীরে সম্পর্কটা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়। আমার জীবনের একমাত্র ‘প্রেম’ আমার মেয়ে। আমার স্বামীর জন্য আমার অনেক ভালবাসা আছে তবে মেয়ের মতো নয়।’’