স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে তমলুকের বিডিও অফিস। নিজস্ব চিত্র
দু’দিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এগরার তৃণমূল বিধায়ক। সোমবার আক্রান্তের তালিকায় যোগ হল জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির ছেলের নাম। রবিবার রাতে জানা যায় করোনায় আক্রান্ত তমলুক ব্লকের বিডিও এবং শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকও (বিএলআরও)।
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসার জন্য কাঁথি, ময়না ও এগরা এলাকায় নতুন করে তিনটি করোনা হাসপাতাল চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কাঁথি শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৭০ শয্যার এবং ময়না ব্লকের একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০০ শয্যার করোনা হাসপাতাল চালুর চেষ্টা হচ্ছে। এছাড়া এগরা শহরে একটি নার্সিংহোমে করোনা হাসপাতাল চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘তমলুকের বিডিও, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ভূমি-ভূমি সংস্কার আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করোনা হাসপাতালগুলি দ্রুত চালুর চেষ্টা হচ্ছে।’’
তমলুকের বিডিও কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছিল। রবিবার রাতে তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসায় রাতেই তাঁকে চণ্ডীপুর মাল্টি স্পেশ্যালিটি করোনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সোমবার তমলুকের নাইকুড়িতে বিডিও অফিস জীবাণুমুক্ত করার কাজ হয়েছে। আপাতত প্রশাসনিক জরুরি কাজের জন্য অল্প সংখ্যক কর্মী নিয়ে বিডিও অফিসের কাজ চালানো হবে।
শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের রবিবার করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। কলকাতার বাসিন্দা ওই আধিকারিককে রবিবার রাতেই রাজারহাটে কোয়ারিন্টন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ দিন বিএলআরও অফিস, বিডিও অফিস সহ সারা চত্বরই জীবাণুমুক্ত করা হয়। বিএলআরও অফিস পাঁচ দিনের জন্য বন্ধ থাকছে।
এগরা মহকুমাতেও রবিবার রাতে নতুন করে ৩২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে পটাশপুর-১ ব্লকের ধকড়াবাঁকা এলাকায় এক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা সাত জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। পটাশপুর-২ ব্লকের দু’জন আশাকর্মীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সকলকে পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে হলদিয়ার একটি সেফ হোমের দায়িত্বে থাকা হলদিয়া ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দিব্যজ্যোতি বসু জানিয়েছেন, সেখান থেকে ৩০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখনও ৬০-৬৫ জন ভর্তি রয়েছেন সেখানে। এছাড়া, বাড়িতে বসেই যাতে করোনা রোগীরা চিকিৎসা পেতে পারেন সে জন্য টেলি মেডিসিন পরিষেবা চালু করা হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য
দফতরের তরফে।