লাউদা অঞ্চলে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের যৌথ মিছিল। সোহম গুহর তোলা ছবি।
দীর্ঘ আট বছর পর ভাজাচাউলি, কুর্মিদা ও লাউদা অঞ্চলে বাম প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল বেরলো। যৌথ মিছিল। রবিবার উত্তর কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের বিরোধী জোটের সিপিএম প্রার্থী চক্রধর মেইকাপের সমর্থনে পথে নামলেন প্রায় হাজার দু’য়েক কংগ্রেস ও বামকর্মী। কুমির্দা অঞ্চলের শুকুনিয়া থেকে শুরু হয়ে পানিচিয়াড়ি, সরপাই,ওলমাই দলবাড়, ভাজাচাউলি অঞ্চলের শিখরপাত্রবাড় ছুঁয়ে হরিগেছিয়া ও লাউদা অঞ্চলের টাটকাবাড়, রঘুনন্দনপুর হয়ে মিছিল নীলপুরে এসে শেষ হয়। সেখানেই হয় পথ সভা।
ভাজাচাউলি, লাউদা,কুর্মিদা এক সময় সিপিএমের গড় বলে পরিচিত ছিল। তারপর ঘুরেছে পরিবর্তনের চাকা। বাম গড় এখন তৃণমূলের ঘাঁটি। আজকের কথা নয়, সেই ২০০৮ সালেই অধিকারী পরিবারের দাপটে উত্তর কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কাঁথি-৩ ব্লকের ওই এলাকাগুলি তৃণমূলের দখলে চলে যায়। রাজনৈতিক সন্ত্রাস কবলিত ওই ব্লকে তারপর থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় বাম শিবির।
২০০৮সালের পর একাধিক রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সিপিএমের বহু নেতা, কর্মী এমনকী সমর্থকও গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হন বলে অভিযোগ। তৃণমূলের সেই খাসতালুকেই আরও একবার সিপিএম প্রার্থীর সমর্থনে দেখা গেল লাল পতাকার মিছিল। সঙ্গে অবশ্য মিশে ছিল কংগ্রেসের তেরঙ্গাও। প্রার্থী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী চক্রধর মেইকাপ ছাড়াও সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর দুই সদস্য সুব্রত পণ্ডা, ভরত মাইতি, প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক ক্ষিতীন্দ্র মোহন সাহু, এনামুল আলি, মহিলা নেত্রী রীনা দাস, সিপিআইয়ের উত্তম প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় বিরোধীদের যৌথ মিছিল দেখে উৎসাহী ছিলেন সাধারণ মানুষও। এমনকী তাঁদের মধ্যে তেমন ভয়ও কাজ করেনি। ঘর ছেড়ে রাস্তায় এসে প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকেই। চক্রধরবাবু বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন সন্ত্রাসের মধ্যে বাস করে কথা বলতেও ভুলে গিয়েছেন বাসিন্দারা। আর আজ তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এটাই প্রমাণ করছে, মানুষের জোট তাঁদের সাহস জোগাচ্ছে। আমি আশাবাদী।’’