প্রতীকী ছবি
করোনা আবহে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিকা মেনেই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে জেলার স্কুলগুলি। এ বার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময়ে পড়ুয়ারা নয়, স্কুলে যাবেন তাদের অভিভাবকেরা। তাঁরাই ফর্ম পূরণ করে জমা দেবেন। তাঁরাই প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে গিয়ে ছেলেমেয়েদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করাবেন। ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে ১- ৩১ অগস্টের মধ্যে।
জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) চাপেশ্বর সর্দার বলেন, ‘‘একাদশ শ্রেণির ভর্তির নির্দেশিকা স্কুলগুলিকে জানানো হয়েছে। স্কুলগুলি সেই নির্দেশিকা মেনেই ভর্তি প্রক্রিয়া করবে।’’ জেলার এক শিক্ষা আধিকারিকের কথায়, ‘‘মিড ডে মিলের চাল- আলু বিলির সময়ে পড়ুয়ারা নয়, তাদের অভিভাবকেরা এসেছিলেন। সেই মতোই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময় অভিভাবকেরা আসবেন।’’
আগামী ১- ১০ অগস্ট পর্যন্ত স্কুলগুলি তাদের নিজস্ব পড়ুয়াদের ভর্তি করাবে। ১১- ৩১ অগস্ট পর্যন্ত অন্য স্কুলের পড়ুয়াদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
করোনা আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাস খানেক আগেই জানিয়েছিলেন, একাদশ শ্রেণির সকলকে পাশ করিয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। একাদশ থেকে পাশ করিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ভর্তি প্রক্রিয়া আগামী ১৫ অগস্টের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১ অগস্ট, শনিবার ইদুজ্জোহা উৎসব রয়েছে। ২ অগস্ট, রবিবার ছুটি। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, জেলার বেশিরভাগ স্কুলই তাই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া ৩ অগস্ট থেকে শুরু করছে।
মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের (বালক) প্রধান শিক্ষক অরূপ ভুঁইয়া বলেন, ‘‘১ অগস্ট ইদুজ্জোহা রয়েছে। ২ অগস্ট রবিবার। তাই আমরা ভর্তি প্রক্রিয়া ৩ অগস্ট থেকেই শুরু করছি।’’ কলেজিয়েট স্কুলের (বালিকা) প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী নন্দীও বলেন, ‘‘স্কুলে ৩ অগস্ট থেকে একাদশ শ্রেণির ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।’’ একই কথা জানিয়েছেন শালবনির ভাদুতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতেশ চৌধুরী।
মাধ্যমিকে এ বার পাশের হারে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে ছিল পশ্চিম মেদিনীপুর (৯২.১৬ শতাংশ)। জেলার ২৪,৬৯৮ জন ছাত্র মাধ্যমিক দিয়েছিল। ছাত্রদের পাশের হার ছিল ৯৫.৩৮ শতাংশ। ২৭,৬৩৪ জন ছাত্রী মাধ্যমিক দিয়েছিল। ছাত্রীদের পাশের হার ছিল ৯০.৫৪ শতাংশ। স্কুলগুলিকে জানানো হয়েছে, মেধার ভিত্তিতে পড়ুয়া ভর্তি করতে হবে। একাদশ শ্রেণিতে গত বছর যে আসন ছিল, এ বার তা কোনওভাবেই কমানো যাবে না।’’