ছায়া দিতে একশো দিনের কাজে পোঁতা হচ্ছে গাছ

মাওবাদী সন্ত্রাসপর্বে জঙ্গলমহলে কাটা পড়েছিল রাস্তার ধারের বহু গাছ। এক সময় গাছ কেটে রাস্তা অবরোধ করত মাওবাদীদের মদতপুষ্ট জনসাধারণের কমিটি। রাজ্যে ক্ষমতার পালা বদলের পরে এলাকায় শান্তি ফিরলেও জঙ্গলমহলের অনেক রাস্তা এখনও ছায়াহীন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:২২
Share:

লাগানো হয়েছে গাছ। নিজস্ব চিত্র।

মাওবাদী সন্ত্রাসপর্বে জঙ্গলমহলে কাটা পড়েছিল রাস্তার ধারের বহু গাছ। এক সময় গাছ কেটে রাস্তা অবরোধ করত মাওবাদীদের মদতপুষ্ট জনসাধারণের কমিটি। রাজ্যে ক্ষমতার পালা বদলের পরে এলাকায় শান্তি ফিরলেও জঙ্গলমহলের অনেক রাস্তা এখনও ছায়াহীন। এ বার একশো দিনের প্রকল্পে এলাকার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ধারে প্রায় ১৯ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলিয়াবেড়া ব্লক-প্রশাসন এবং বেলিয়াবেড়া পঞ্চায়েত সমিতি।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, এক সময় বেলিয়াবেড়া ব্লকের ফেঁকো থেকে সুবর্ণরেখা সেতু যাওয়ার ৯ নম্বর রাজ্য সড়কের দু’পাশে নানা ধরনের গাছ ছিল। ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রাজ্যসড়কের দু’পাশে রোপণ করা হয়েছে প্রায় আট হাজার কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা। ব্লকের নাদনগেড়িয়া থেকে পদিমা বারিক মোড় পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার জেলাসড়কের দু’পাশে আরও প্রায় ১১ হাজার বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৮ হাজার দেবদারু গাছের চারা, এক হাজার কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা এবং ১,৮০০ আকাশমণি গাছের চারা।

বেলিয়াবেড়ার বিডিও কৌশিক ঘোষ জানান, ব্লকের নার্সারি থেকে গাছের চারা কেনা হয়েছিল। ১৯ হাজার গাছের চারা রোপণের জন্য একশো দিনের প্রকল্পে খরচ হয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। এই টাকার বেশির ভাগটাই গাছের চারা রোপণের জন্য শ্রমিকদের মজুরি মেটাতে খরচ হয়েছে। গাছের চারাগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৯টি স্বসহায়ক গোষ্ঠীর সদস্যদের। প্রতিদিন গাছের চারায় জল দেওয়া ও পরিচর্যার জন্য প্রত্যেক সদস্য প্রতি মাসে গড়ে দু’হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। বেলিয়াবেড়ার বিডিও কৌশিক ঘোষ বলেন, “সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি, রাস্তার দু’পাশের ভূমিক্ষয় রোধ করার জন্য প্রকল্পটি রূপায়ণ
করা হচ্ছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement