পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারস পরীক্ষার জন্য আনা হয়েছে দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
বিপুল সংখ্যায় ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। তাঁরা যাতে সকলেই হোম কোয়রান্টিনে থাকেন, তা একশো শতাংশ নিশ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে প্রশাসনও।
কী ভাবে কাজ করছে প্রশাসন?
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, পরিযায়ী শ্রমিকরা কে, কবে, কোথা থেকে আসছেন, সাদা কাগজে লিখে নির্দিষ্ট দিন উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট বাড়ি চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাঁরা ঠিকঠাক নিয়ম মানছেন কি না, তা দেখছে টাস্কফোর্স। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক মানলেন, “যাঁরা যেখানে ছিলেন, সবাই সুস্থ ছিলেন। কিন্তু তাঁরা তো ট্রেনে-বাসে করে ফিরছেন। একসঙ্গে অনেকের সঙ্গে মেলামেশা করতে হয়েছে। এই মুহুর্তে তাই নিয়ম মানাটা খুব জরুরি। প্রশাসন তা দেখছে।”
এখন নিয়ম করে পাঁচশো-সাতশো করে শ্রমিক ঘাটাল-দাসপুরে ফিরছেন। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার চলে এসেছেন। নিজের ঘর না থাকায় এতটা পথ এসেও অনেকেই অসহায়। বিকল্প কী করা হবে এ বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা নেই। সেখানেই তৈরি হয়েছে মূল সঙ্কট। পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকের প্রশ্ন, প্রশাসন ঘরে থাকতে বলছে। অথচ বিকল্প উপায়ের কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। সমস্যার কথা স্বীকার করে ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “অনেকের নিজস্ব ঘর নেই।পঞ্চায়েতের তরফে বিক্ষিপ্ত ভাবে অবশ্য অনেকের পরিত্যক্ত বাড়ি সারিয়ে দেওয়া হচ্ছে।প্রয়োজনে ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে।”