বেসরকারি বাসের ধাক্কায় দিঘায় মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ দিঘায় ঢোকার মুখে নন্দকুমার-দিঘা ১১৬ বি জাতীয় সড়কে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত বাবু রাও (৫৮) দিঘা উপকূল থানার পূর্ব মুকুন্দপুরের বাসিন্দা। পেশায় ভ্যানরিকশা চালক বাবু দিঘা মোহনায় মাছের ট্রলার আসার পর, সেখান থেকে ভ্যানে মাছ বয়ে মোহনার বাজারে পৌঁছে দিতেন। এ দিনও দিঘা মোহনার বাজারে মাছ পৌঁছে দেওয়ার পর সেখানে ভ্যানরিকশা রেখে বাড়ির জন্য বাজার করে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, দিঘা মোহনার রাস্তা যেখানে জাতীয় সড়কের সঙ্গে মিশেছে সেই অংশের রাস্তা বেশ ঢালু। এদিন সাইকেলে জাতীয় সড়কে ওঠার মুখেই বাবু রাওকে ধাক্কা মারে বাসটি। এগরা-দিঘা রুটের ওই বাসের ধাক্কায় সাইকেল থেকে পড়ে বাসের চাকার নীচে চলে যান বাবু। তাঁর উপর দিয়েই চলে যায় বাসটি। চাকায় দেহ আটকে বেশ যাওয়ায় বেশ কিছুটা রাস্তায় দেহটি ঘষতে ঘষতে যায়। লোকজনের চিৎকার-চেঁচামেচিতে বাসটি দাঁড়িয়ে পড়ে। বাসের চালক-কণ্ডাক্টর সহ যাত্রীরা নেমে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন বাসের নীচে থেকে দেহ উদ্ধার করলেও পুলিশ এসে দেখে বাবু রায়ের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের সামনেই বেপরোয়া যান চলাচল নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, দিঘা মোহনায় যাওয়ার এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিদিন কয়েকশো ছোট গাড়ি থেকে মেশিন ভ্যান, রিকশা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু এখানে কোনও ট্রাফিক পুলিশ বা সিভিক ভলান্টিয়ারকে যান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। অথচ এখানেই যখন তখন দুর্ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাখানেক ধরে অবরোধ চলায় দিঘায় ঢোকার মুখে যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাসটিকে আটক করেছে দিঘা মোহনা থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তমলুকের রামতারকে বুধবার রাতে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক সাইকেল আরোহীর। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ওইদিন দিন রাতে বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তি সাইকেলে জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার সময় হলদিয়াগামী একটি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে। স্থানীয়রা তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।