—নিজস্ব চিত্র।
নন্দীগ্রামের কাছে হলদি নদীতে মৎস্যজীবীদের নোঙর করা ট্রলার উল্টে নিহত হলেন তার চালক। শনিবার রাতে দুর্ঘটনার সময় ওই ট্রলারটিকে চালক-সহ ১৪ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩ জন জলের তোড়ে তলিয়ে গিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বাকি ১১ জন সাঁতরে নদীর পাড়ে উঠে প্রাণে বাঁচেন। পূর্ব মেদিনীপুরের কেন্দেমারি এলাকায় গঙ্গামেলা ঘাটে এই দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত চালকের নাম প্রদীপ মান্না (৪৭)। শনিবার রাতে নন্দীগ্রামের কাছে কেন্দেমারি ঘাটের কিছুটা দূরে ‘মা করুণাময়ী’ নামে মাছ ধরার ট্রলারটিকে নোঙর করে খাওয়াদাওয়া সারছিলেন মৎস্যজীবীরা। হঠাৎই প্রবল জলের তোড়ে তা উল্টে যায়। প্রাণে বাঁচতে ট্রলারের সকলে নদীতে ঝাঁপ দেন। তাঁদের মধ্যে ৩ জন জলের তোড়ে নিখোঁজ। বাকিরা কোনও মতে প্রাণে বাঁচলেও দুর্ঘটনায় সময় ট্রলারের খোলের মধ্যে থাকা চালক তার ভিতরেই আটকে পড়েন। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর।
শনিবার রাতে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। প্রাথমিক ভাবে তাঁরা উদ্ধারকাজ শুরু করলেও নদীর স্রোতে তা ব্যাহত হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নদীর ঘাটে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার ভোরের দিকে জলের উচ্চতা কিছুটা কমলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারের ভিতর থেকে চালকের মৃতদেহ উদ্ধার করে হয়। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর বিশ্বাস, বিডিও সুমিতা সেনগুপ্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তবে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।