কৈলাসকে আক্রমণ বিজেপি নেতা তথাগতের।
বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলেই ফিরে গিয়েছেন মুকুল রায়। আকস্মিক ‘বন্ধু বিচ্ছেদে’ এখন হতাশ নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ‘একা’ হয়ে পড়া কৈলাসকে যাতে তৃণমূলে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়, তার জন্য টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। অর্থাৎ পরোক্ষে কৈলাস বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে যাওয়ারই নিদান দিলেন তিনি। যদিও তিনি নিজে ওই টুইটটি করেননি। বাংলার এক ‘একনিষ্ঠ বিজেপি সমর্থক’ একটি টুইট করেছেন। তথাগত শুধু তার আক্ষরিক ইংরেজি অনুবাদ করেছেন এবং সেই সমর্থকের টুইটটিও রিটুইট করেছেন।
নীলবাড়ির লড়াইয়ে দলের বিপর্যয়ের জন্য বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন এবং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বার বার আঙুল তুলতে দেখা গিয়েছে তথাগতকে। ফল ঘোষণার পর থেকেই ওই চার নেতার বিরুদ্ধে একাধিক বার টুইটারে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। চার নেতার পুরো নাম না নিয়ে ‘কে’, ‘এস’, ‘এ’, ‘ডি’-এই নামসংক্ষেপ ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সাম্প্রতিক টুইটেও কৈলাসের নামোল্লেখ করেননি তিনি।
দিবাকর দেবনাথ নামে ওই টুইটার ব্যবহারকারী মুকুল ও কৈলাসের একটি ছবি পোস্ট করে টুইটের বক্তব্যে কৈলাসের উদ্দেশে বেশ কিছু রুচিহীন শব্দের প্রয়োগ করেছেন। তৃণমূল নেত্রী মমতাকেও ‘পিসি’ সম্বোধন করেছেন। তাঁর-ই বক্তব্য, মুকুল এবং কৈলাস সব সময়েই নিজেদের মধ্যে ‘গুজ-গুজ’, ‘ফিস-ফিস’ করতেন। মুকুল তৃণমূলের ফিরে যাওয়ায় কৈলাস এখন ‘হতাশ’। মমতার কাছে তাঁর অনুরোধ, তাঁকেও দলে নিক তৃণমূল। এই বক্তব্যই অনুবাদ করে আরেকটি টুইট করেন তথাগত। তাতে তিনি লেখেন, ‘একজন একনিষ্ঠ বিজেপি কর্মীর টুইটের যথার্থ অনুবাদই করছি। কোনও অংশ যোগ বা বিয়োগ করিনি।’ কৈলাসের উদ্দেশে ওই ব্যক্তি যে শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছেন, তার আক্ষরিক অনুবাদ করতে গিয়ে তিনি লেখেন, ‘স্টুপিড ক্যাট’।
নেটমাধ্যমে ‘দলবিরোধী’ মন্তব্যের জন্য দিল্লিতে গত সপ্তাহেই তলব করা হয়েছিল তথাগত রায়কে। সেই ডাকে দিল্লি গিয়ে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গেও কথা বলে এসেছিলেন তথাগত। ঘটনাচক্রে সেই দিনই একটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। যে কমিটির কাজ হবে, নেটমাধ্যমে কোন নেতা কী মন্তব্য করছেন, তা নজরে রাখা। কিন্তু এ সবের কোনওটাতেই যে কর্ণপাত করছেন না তথাগত, তা রবিবারের অনুবাদ-টুইটেই স্পষ্ট হয়ে গেল।