প্রতীকী ছবি।
গাছ লাগালেই মিলবে পুজোর চাঁদায় ছাড়! গৃহস্থদের এই চ্যালেজ্ঞ দিয়েই কিস্তিমাৎ করেছে হলদিয়ার একটি মহিলা পরিচালিত কালীপুজো। পুজোর বাজেট বাঁচিয়ে কেনা হচ্ছে গাছের চারা।
থিমের প্রতিযোগীতা এখানে নেই। কালীপুজোয় পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে উদ্যোগী হয়েছেন দুর্গাচকের এসএফ ব্লকে মহিলারা। কালীপুজোয় প্রসাদের সঙ্গে চারাগাছ বিলির পরিকল্পা নেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরই শ্যামা মায়ের আরাধনা করে থাকেন এই এলাকার মহিলারা। এ বছর তাঁদের পুজো ২১ বছরে পা দিল।
প্রতি বছরই সাবেক ধাঁচে গড়া হয় মায়ের মূর্তি। দেখনদারি আলোর ঝলকানি না থাকলেও আনন্দের অভাব হয় না এখানে। পুজো উপলক্ষে একাঙ্ক নাটক,নাচ, গান, আবৃত্তি সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মাসখানেক আগে থেকেই জোরকদমে চলে পুজোর প্রস্তুতি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য সারা সন্ধ্যা ধরে চলে মহড়া। পুরুষের হস্তক্ষেপ এখানে নেই। সারা বছরের সংসারের খরচ বাঁচিয়ে এই পুজো করেন মহিলারাই।
পুজো কমিটির তরফে সঙ্গীতা পণ্ডা বলেন, ‘‘এলাকার ১৫ জন মহিলা মিলে সংসার খরচ বাঁচিয়ে এই পুজো করি। পুরোহিত থেকে শুরু করে ডেকোরেটার্স— সব আমরা নিজেরাই ঠিক করি। এখানে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের কোনও হস্তক্ষেপ থাকে না।’’ এবারে পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে তাঁরা চারা গাছ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সঙ্গীতা। ওই গাছগুলি লাগানো হয়েছে কি না বা তার পরিচর্যা করা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মাঝে মাঝেই গৃহস্থের বাড়িতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, পরের বছর কোনও গাছ কী অবস্থায় রয়েছে, তা পর্যালোচনা করে পুজোর চাঁদায় ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে পুজো কমিটির তরফ থেকে।
পুজো কমিটির সম্পাদক অসীমা আদক বলেন, ‘‘গ্রেটা থুনবার্গের মতো একটা বাচ্চা মেয়ে যদি পরিবেশ রক্ষার ব্যপারে উদ্যোগী হয়ে সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিতে পারে, সেখানে আমরা কেন নয়! আমরা সবাই মিলে ভাবলাম এ বছর কালীপুজোয় অন্য দিক থেকে বাজেট কিছুটা কাটছাঁট করে চারা গাছ বিলি করব।’’ সেই ভাবনায় এখন বাস্তবায়িত হওয়ার অপেক্ষায়