অনির্বাণ দাস। নিজস্ব চিত্র
আগামী ১৭ জানুয়ারি হরিয়ানার ফরিদাবাদে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল’। সেখানে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে মহাকাশ বিজ্ঞান সংক্রান্ত একটি ‘হ্যাকাথন’। কী এই হ্যাকাথন? এটি আসলে সম্মিলিত ভাবে নতুন কোনও সমস্যার সমাধান সূত্র খুঁজে বার করা। সেই কর্মকাণ্ডে বিশেষজ্ঞ এবং নির্ণায়ক হিসেবে আমন্ত্রিত হলেন হলদিয়ার বাসিন্দা বিজ্ঞানী অনির্বাণ দাস।
ভারত সরকারের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং ভূ-বিজ্ঞান দফতরের উদ্যোগে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল। এ বার ফরিদাবাদে ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যাল। ফেস্টিভ্যালে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর উদ্যোগে প্রথমবার তরুণ গবেষক এবং পড়ুয়াদের নিয়ে মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত একটি হ্যাকাথনের আয়োজন করা হয়েছে। বাছাই করা মোট ৫০টি দল ওই হ্যাকাথনে অংশ নেবে। হ্যাকাথনে থাকছে স্যাটেলাইট প্রযুক্তি, মহাকাশ অন্বেষণ এবং মহাকাশ-প্রয়োগ সংক্রান্ত নানা বিষয়। জানা গিয়েছে, ইসরোর স্পেস হ্যাকাথনে বিশেষ কিছু বিষয়ের ওপর দু’দিন-ব্যাপী গবেষণা করে সমাধান সূত্র বার করার কাজ করবে অংশগ্রহণকারী দলগুলি।
ইসরোর স্পেস হ্যাকাথনে বিশেষজ্ঞ এবং নির্ণায়ক হিসেবে এ রাজ্য থেকে আমন্ত্রিত হয়েছেন বিজ্ঞানী অনির্বাণ দাস। হলদিয়ার চৈতন্যপুরের বাসিন্দা অনির্বাণ দাস বর্তমানে কলকাতার ‘ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টে’র অধ্যাপক এবং ‘ইনোভেশন কাউন্সিলে’র ভাইস-প্রেসিডেন্টও বটে। সেনার জন্য বিশেষ এক ধরনের জুতো আবিষ্কার করে দেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধান প্রয়াত বিপিন রাওয়াতের হাত থেকে ‘বেস্ট ইনোভেটর অ্যাওয়ার্ড’ও পেয়েছিলেন অনির্বাণ।
গত বছর ইসরোর চন্দ্রযান মিশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পাঁশকুড়ার বাসিন্দা বিজ্ঞানী পীযূষকান্তি পট্টনায়েক। চন্দ্রযানের চাঁদে সফল অবতরণের পর পীযূষের জন্য গর্ববোধ করেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দারাও। হলদিয়ার বিজ্ঞানী অনির্বাণ দাস ইসরোর ‘স্পেস হ্যাকাথনে’ ডাক পাওয়ায় আরও একবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সঙ্গে জেলার নাম জুড়ে গেল। বিজ্ঞানী অনির্বাণ দাস বলেন, ‘‘খুবই ভাল লাগছে।’’