হাসপাতালে ভর্তি নাবালিকা। নিজস্ব চিত্র
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক নাবালিকাকে প্রথমে অপহরণের চেষ্টা করা হল। পরে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার ছয় নম্বর ক্ষীরাই অঞ্চলের জোড়াবাঁধ এলাকায়। আহত ওই নাবালিকাকে ভর্তি করানো হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। পুলিশ ওই ঘটনায় কয়েক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
পিংলার বলিশ্বরপুর গ্রামের ওই নাবালিকা এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে জানায়, বুধবার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে সার্কাস দেখে ফেরার পথে তার উপর হামলা হয়। পার্শ্ববর্তী ক্ষীরাই গ্রামের বাসিন্দা মুস্তাফা খান নামে বছর বিয়াল্লিশের এক যুবক এই ঘটনায় অভিযুক্ত। অভিযোগ, মুস্তাফা তার দলবদল নিয়ে প্রথমে ওই নাবালিকার পথ আটকায়। তাকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে তার গলায়, হাতে এবং পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ।
নাবালিকার পরিবারের দাবি, গত পাঁচ-ছ’মাস ধরে মুস্তাফা ওই নাবালিকাকে বিরক্ত করছিলেন। এমনকি বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে নাবালিকা এবং তার বাড়ির লোকজন রাজি হয়নি। বৃহস্পতিবার মুস্তাফার বিরুদ্ধে পিংলা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন নাবালিকার মা। নাবালিকাকে প্রাথমিক ভাবে পিংলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মুস্তাফা পলাতক। ওই ঘটনায় কয়েক জন সন্দেহভাজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পিংলা থানার পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন, খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায়।