নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের কৃষি দফতরে ব্যাপক তাণ্ডব চালালেন গ্রুপ ডি-র কর্মী সুমন মাইতি। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার অফিস ঘেরাও করেছেন ওই দফতরের অন্যান্য কর্মীরা। তার পরই সন্ধ্যা নাগাদ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রাজ্যের মন্ত্রীর দূর সম্পর্কের ভাগ্নে পরিচয় দেওয়ায় কৃষি দফতরের কর্মীরা এত দিন কোনও পদক্ষেপ করতে পারতেন না বলেই জানিয়েছেন। কিন্তু শুক্রবারের ঘটনায় তাঁদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। বিগত কয়েক বছর ধরে ওই কৃষি দফতরের চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ ডি-র কর্মী হিসেবে কাজ করছেন সুমন। বাকি কর্মীদের বক্তব্য, তাঁর আচার-আচরণ আধিকারিকদের মতো। অফিসের একটি ঘর দখল করে সেখানেই বসেন। কর্মীদের দিয়ে চা আনান। নিজের ব্যক্তিগত কাজকর্মও করান তাঁদের। ওই যুবকের ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার হঠাৎই কর্মীদের উপর চড়াও হন তিনি। আধিকারিকেরা বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও আক্রমণ করেন। অফিসের কম্পিউটার ভেঙে দেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট করারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আর তার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দফতরের বাকি কর্মীরা। দেশপ্রাণের বিডিও শুভজিৎ জানা, কৃষি অধিকর্তা নির্মল কুমার দিন্দা সকলেই ওই যুবকের বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আনন্দবাজার অনলাইনকে মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘‘আমার ছেলে, ভাগ্নে বা আত্মীয়, যেই হোক না কেন, আইন-বিরুদ্ধ কাজ করলে তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তেই হবে। মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে কেউ দুষ্কর্ম করলে তাঁকে কর্মফল ভোগ করতেই হবে।’’ তবে ওই যুবক প্রকৃত অর্থে মন্ত্রীর আত্মীয় কি না, এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমি কিছু মন্তব্য করব না। তবে আইন আইনের পথেই চলুক, এটাই আমার দাবী’’