—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাফাই ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একটি বেসরকারি সংস্থাকে আচমকা অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার হাসপাতাল চত্বরে ও মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষার অফিস ঘরের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন ঠিকাদার ও তাঁর লোকজন।
জানা গিয়েছে, ‘এসবি এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি সংস্থা বহু বছর ধরে হাসপাতালের বিভিন্ন কাজের বরাত পেয়ে আসছে। মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন হওয়ার পরই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে তৎপর হয়েছেন বলে খবর। সম্প্রতি সাফাই ও নিরাপত্তা রক্ষী বহালের জন্য টেন্ডার ডাকেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সর্বনিম্ন দরপ্রদানকারী তিনটি বেসরকারি সংস্থাকে পর্যায়ক্রমে চারমাস করে ওই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। হাসপাতালে কাজ করে চলা সবচেয়ে পুরনো ঠিকাদারি সংস্থা ‘এসবি এন্টারপ্রাইজ’ সাফাই ও নিরাপত্তার কাজ করছিল। সোমবার ওই সংস্থার কর্তা সুভাষ দাসকে ই-মেল করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করতে বলেন। সুভাষকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বরাতপ্রাপ্ত অন্য একটি সংস্থা সোমবার থেকেই কাজ করছে। এরপরই মঙ্গলবার হাসপাতাল চত্বরে লোকজন নিয়ে নিয়ে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখান সুভাষ। পরে বিদ্যাসাগর পল্লি এলাকার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষার অফিস ঘরের সামনেও জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
ঠিকাদার সুভাষ দাসের অভিযোগ, ‘‘হাপাতালের অ্যাকাউন্ট অফিসার জড়িত। বহু টাকা পয়সা লেনদেন হয়েছে। অন্যায়ভাবে আমার সংস্থাকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষা সুস্মিতা ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘ভিত্তিহীন ও অত্যন্ত অপমানজনক মন্তব্য করেছেন ওই ঠিকাদার। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন বিরবাহা ম্যাডাম যেমন বলেছেন সেই মত পদক্ষেপ করা হয়েছে। যে সংস্থার ক্রেডেনশিয়াল সবচেয়ে ভাল তাদের আগে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’
মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার কথায়, ‘‘হাসপাতাল নিয়ে মৌরসীপাট্টা চলতে দেব না।’’