রাস্তা অবরোধ। নিজস্ব চিত্র
তাড়া ছিল। তাই বাসের পিছনে বাইকে থাকা আরোগী যুবক সমানে হর্ন বাজিয়ে বাসচালককে পাশে জায়গা দেওয়ার দেওয়ার জন্য ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু নিরুপায় বাসচালক। কারণ সরু রাস্তায় জায়গা দেওয়ার উপায় ছিল না। কিন্তু বাসচালক ইচ্ছাকৃত ভাবে তা করছেন ভেবে পরে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে বাসচালকের উপরে ‘বদলা’ নিল সেই বাইক আরোহী। বদলা এতটাই হিংসাত্মক হল যে বাইক আরোহীর ছোড়া ইটে শুধু বাসের সামনের কাচই ভাঙল না। ইটের আঘাতে মাথা ফাটল এক যাত্রীর। অভিযুক্ত যুবককে আটকে রেখে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী, শুক্রবার ভগবানপুরের খেজুরতলা মোড়ে।
পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়াগামী বেসরকারি বাসটি এগরা থেকে বাজকুল যাচ্ছিল। ভগবানপুরে লালপুর বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী নিয়ে সেটি বাজকুলের দিকে রওনা দেয়। দীর্ঘদিন এগরা-বাজকুল রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণ না হওয়ায় এবং জবরদখলের কারণে সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে। দ্রুতগতির যান চলাচলে এই রাস্তায় হাজারো ঝক্কি পোহাতে হয় চালকদের। বাজকুল বাসস্ট্যান্ডে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছতে বাসটি দ্রুত ছুটছিল। অভিযোগ, বাসের পিছনে সস্ত্রীক বাইকে বাজকুল আসছিল সরবেড়িয়া গ্রামের যুবক ভুট্টু আলি খান। বাসটিকে একাধিকবার হর্ন দিয়ে পথ ছাড়ার জন্য সতর্ক করছিল বাইক আরোহী। রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় বাসচালক পত ছাড়তে পারেননি। অভিযোগ, খেজুরতলা বাসস্ট্যান্ডে স্পিডব্রেকারে বাসের গতি কমতে বাইক আরোহী বাসের সামনে এসে পথ আটকায়। হর্ন দেওয়া সত্ত্বেও বাসচালক কেন তাকে পথ ছাড়েনি দেয়নি তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। বচসার মধ্যেই এক সময় রাস্তার ধারে পড়ে থাকা ভাঙা ইট তুলে বাসচালককে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারে ওই যুবক। বাসের সামনের কাচ ভেঙে বাঁদিকের সিটে বসে থাকা এক যাত্রীর মাথায় ইট লাগে। তাঁর মাথা ফেটে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত যুবককে আটকে রেখে পথ অবরোধ ও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সকাল সাড়ে দশটা থেকে আধঘন্টা ধরে অবরোধে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ভগবানপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে অভিযুক্ত যুবককে উদ্ধার করে। পরে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। আহত যাত্রীকে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা কারানো হয়। ভগবানপুর থানার পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত বাইক আরোহীকে আটক করা হয়েছে। কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।