দুর্ঘটনায় মৃত্যু চালক, খালাসি-সহ এক তীর্থযাত্রীর।
বিহারের গয়া যাওয়ার পথে বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তীর্থযাত্রী বোঝাই বাস। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর থানা এলাকা থেকে রওনা হওয়া ওই বাসের চালক, খালাসি ও এক তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে ওই দুর্ঘটনার জেরে। সোমবার ভোরের দিকে ঝাড়খণ্ড ও বিহারের সীমানা লাগোয়া হাজারিবাগে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় বেশ কয়েক জন তীর্থযাত্রী অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন।
রবিবার বিকেল নাগাদ ভগবানপুরের কাঁকড়াবাড়ি গ্রাম থেকে গয়ার উদ্দেশে রওনা দেয় তীর্থযাত্রীদের ওই বাসটি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাসে অন্তত ৭০ জন যাত্রী ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরের দিকে বাসটিকে কিছু ক্ষণ দাঁড় করানো হয়েছিল। বাস ছাড়ার খানিক ক্ষণ পরেই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এই ট্রাকে ধাক্কা মারে বাসটি। অজিতকুমার বাগ নামে এক তীর্থযাত্রী বলেন, ‘‘গাড়ির চালক একটানা কয়েক দিন গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে শুনেছি। রবিবার রাতে উনি বার বার ঘুমে ঢুলে পড়ছিলেন। বার বার নিয়ন্ত্রণও হারাচ্ছিলেন। তাই, আমরা চালককে রাস্তার পাশে কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিতে অনুরোধ করেছিলাম। সেই মতো বাসটি দাঁড় করানোও হয়। এর পর বাস ছাড়তেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে।’’ ঘটনাস্থলেই চালক, খালাসি-সহ ভগবানপুর ২ ব্লকের বৃন্দাবনপুরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
অজিত জানান, চালক ও খালাসি-সহ যে তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, তিনি ভগবানপুর ২ ব্লকের বৃন্দাবনপুরের বাসিন্দা। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের সকলকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে পুলিশের তরফে। উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসেন স্থানীয়েরাও। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই তৎপর হন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি বলেন, ‘‘আহতদের চিকিৎসার পাশাপাশি নিহতদের দেহ যাতে দ্রুত তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া যায়, তার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।’’