—প্রতীকী ছবি।
পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর রেলস্টেশন থেকে কিছুটা দূরে ঝোপের মধ্যে এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছিল মঙ্গলবার। তার তদন্তে নেমে এক দিন পর বুধবার মৃতার পরিচয় জানতে পারল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থানার শ্যামনগরের বাসিন্দা। তাঁর বয়স ২৪। বুধবার কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে দেহ শনাক্ত করেন তাঁর স্বামী। রামনগর থানা সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের পর বধূর দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জেলার ডিএসপি রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘‘মৃতা ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত জগদ্দল খানা এলাকার বাসিন্দা। সেখানকার পুলিশ ও মৃতার পরিবার এসে দেহ শনাক্ত করেছে। দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ব্যারাকপুরের পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলার দিকে ব্যাপক দুর্গন্ধ ছড়ায় দিঘা-তমলুক রেলপথের রামনগর রেল স্টেশনের অদূরে। ঘটনার উৎস খুঁজতে গিয়ে ঝোপের মধ্যে পড়ে থাকা একটি সুটকেসে ওই মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি পলিথিনে জড়ানো ছিল। দেহ উদ্ধারের পর সেটি কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে মহিলার পরিচয় জানতে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় তাঁর ছবি পাঠানো হয়। এর পরেই রামনগর থানার পুলিশ জানতে পারে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক মহিলার নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করা হয়েছিল জগদ্দল থানায়। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে মৃতার শরীরের মিল পাওয়া গিয়েছে। এর পরেই ওই মহিলার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রামনগর থানা। খবর পেয়ে মৃতার স্বামী ও পরিবারের লোকেরা থানায় আসেন। মৃতদেহের হাতে থাকা ট্যাটু দেখে দেহটি শনাক্ত করেন তাঁরা।
রামনগর থানায় এসে মৃত মহিলার স্বামী জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ তাঁর স্ত্রী বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। এর পর অনেক খোঁজাখুজি করেও তাঁর হদিস মেলেনি। না পেয়ে অবশেষে ১৭ সেপ্টেম্বর জগদ্দল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি। স্বামী বলেন, ‘‘মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ রামনগর থানা থেকে একটি দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি। হাতের একটা ট্যাটু দেখে স্ত্রীর দেহ শনাক্ত করেছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘কার সঙ্গে কী ভাবে স্ত্রী রামনগরে এসেছে এবং কী ভাবে ওর মৃত্যু হল, তা বুঝতে পারছি না।’