তৃণমূলের টিকিটে পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী গোপাল নন্দী। — নিজস্ব চিত্র।
এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সেই জয়ের ধারা বজায় রইল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হলেন ৮৮ বছরের গোপাল নন্দী। ২৫১ ভোটে। ৫৮ বছর ধরে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়ে জিতে চলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, দল দায়িত্ব দিলে কাজ চালিয়ে যাবেন।
খদ্দরের বুশ শার্ট আর খাটো ধুতি, এভাবেই গোপালকে চেনেন স্থানীয়রা। জানা যায়, তার বাবা হরিপদ নন্দীর হাত ধরে ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন তিনি। কলেজ জীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ৫৮ বছর আগে, ১৯৬৫ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ। তার পর কখনও কংগ্রেস, কখনও নির্দল, কখনও তৃণমূলের টিকিটে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়ে প্রতি বার জিতেছেন গোপাল। ৩৪ বছরের বাম জমানাতেও হারেননি তিনি।
রাজনৈতিক জীবনের গোড়ায় কংগ্রেস করতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল গঠন করার পর কংগ্রেস ছেড়ে ঘাসফুলে। কয়েক বছর তিনি পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত সমিতিতে জিতেছিলেন। বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এলাকাবাসীর কাছে এক জন সৎ নেতা হিসাবে পরিচিত তিনি। কখনও ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচারে বার হননি। সেই নিয়ে গোপালের যুক্তি, সারা জীবন মানুষের পাশে থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছেন। তাই আর আলাদা করে প্রচার করার প্রয়োজন নেই। এক সময় বিধানচন্দ্র রায়, অজয় মুখোপাধ্যায়দের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন এই নেতা। দিন কয়েক আগে নবজোয়ার কর্মসূচিতে এসে এই অশীতিপর নেতার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবারও ভোটে জিতে তিনি বলেন, ‘‘আমার কৃতিত্ব নয়, উপরওয়ালার দয়া। ঈশ্বরের দয়া থাকলে, দল দায়িত্ব দিলে কাজ চালিয়ে যাব।’’