প্রতীকী ছবি
করোনা মোকাবিলায় চতুর্থ দফার লকডাউনের পর গত ১ জুন থেকে আনলক শুরু হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যে বিভিন্ন জেলার সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী পয়লা জুন থেকে সরকারি বেসরকারি অফিস খোলার পাশাপাশি যাত্রী পরিবহণে সরকারি-বেসরকারি চলাচল শুরু হয়। শর্তসাপেক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান খোলা ও বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়।
করোনা সতর্কতা বিধির ফাঁক বলে গত কয়েকদিন ধরেই জেলা সদর তমলুক শহর সহ হলদিয়া, পাঁশকুড়া, কাঁথিতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়তে থাকায় উদ্বেগ বেড়েছে জেলাবাসীর। এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ রোধে তমলুক, কাঁথি, পাঁশকুড়া ও এগরা পুর-শহরের সর্বত্র এবং হলদিয়া শহরের একাংশে সার্বিক লকডাউনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের তরফে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল জেলাকে। রবিবার তাতে সম্মতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট পুর-শহর এলাকায় কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। বন্ধ হয়েছে বাজার, যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, দোকানপাট সন্ধ্যা ছ’টার পরে পুরো বন্ধ রাখা হচ্ছে। শহর এলাকার বাইরে তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী, নন্দকুমার, পাঁশকুড়া গ্রামীণ, সুতাহাটা ও হলদিয়া ব্লকের একাংশেও লকডাউন জারি করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে যে সব জায়গায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেখানে লকডাউন বিধি কার্যকরা হচ্ছে। ছাড় থাকছে শুধু জরুরি পরিষেবায়।’’
২১ জুলাই ‘শহিদ দিবস’ উপলক্ষে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য্যায়ের ভার্চুয়াল সভার বক্তব্য শোনার জন্য বুথে বুথে কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত কর্মসূচি বাতিল করেছে জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি বিবেচনা করে বুথে বুথে জমায়েত কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।’’ শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক শরৎ মেট্যা বলেন, ‘‘২১ জুলাই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার বক্তব্য শোনার জন্য বুথে বুথে জমায়েত কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।’’
রবিবার থেকে কাঁথি শহরের সমস্ত দোকানপাট আগামী এক সপ্তাহ বন্ধ রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কাঁথি বাজার ব্যবসায় সমন্বয় সমিতির সম্পাদক জগদীশ দিন্দা বলেন, ‘‘সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য শহরের সমস্ত ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও রবিবার কাঁথি শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচল এবং লোকের আনাগোনা দেখা গিয়েছে।