সাঁকরাইল

তৃণমূলের সংঘর্ষে গ্রেফতার দুই গোষ্ঠীর চারজন

পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইলে অবৈধ বালি খাদানকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা সকলেই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share:

পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইলে অবৈধ বালি খাদানকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা সকলেই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মী।

Advertisement

শনিবার সকালে সাঁকরাইল থানার নেপুরা গ্রামে সংঘর্ষে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সাতজন জখম হন। ওই ঘটনায় তৃণমূলের সাঁকরাইল ব্লক সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্র গোষ্ঠীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা হলেন তৃণমূলের নেপুরা বুথের সভাপতি তারাশঙ্কর মিশ্র, যুব তৃণমূলের নেপুরা বুথ সভাপতি অভিজিত পৈড়া ও দলীয় কর্মী মিহির সাউ। এই তিনজন হলেন রগড়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি রঞ্জিত মাইতির গোষ্ঠীর লোক।

অভিযোগপত্রের প্রথমেই রঞ্জিতবাবুর নাম থাকলেও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেনি।

Advertisement

রঞ্জিতবাবুদের পাল্টা অভিযোগে ব্লক সভাপতি সোমনাথবাবুর গোষ্ঠীর রতিকান্ত সিংহ নামে এক দলীয় কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। দু’টি অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় উভয় পক্ষের ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।

রবিবার পৃথক দু’টি মামলায় ধৃত চারজনকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। তারাশঙ্করবাবু, অভিজিতবাবু ও মিহিরবাবুর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাঁদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।”

পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের একংশ। কারণ, এ দিন আর একটি মামলায় ধৃত তৃণমূল কর্মী রতিকান্ত সিংহ আদালত থেকে শর্তাধীন জামিনে ছাড়া পেয়ে যান। আদালত থেকে বেরিয়ে হেসে রতিকান্তবাবু বলেন, “অঞ্চল সভাপতি গোষ্ঠীর দায়ের করা এফআইআর-এ আমার ভাই শ্রীকান্ত সিংহের নাম রয়েছে। ভাইকে না পেয়ে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে এসেছিল।”

নেপুরা গ্রামে অবৈধ বালি খাদানকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের ব্লক ও অঞ্চল সভাপতির গোষ্ঠীর মধ্যে অর্ন্তদ্বন্দ্ব চলছিল। অভিযোগ, সাঁকরাইল ব্লক সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্র-র গোষ্ঠীর লোকজন একটি খাদানের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতেন। আর একটি খাদানের নিয়ন্ত্রণ করতেন অঞ্চল সভাপতি রঞ্জিত মাইতির গোষ্ঠীর লোকেরা। সম্প্রতি তৃতীয় আর একটি নতুন খাদানে বালি তোলা শুরু হয়। নতুন ওই খাদানটিও ব্লক সভাপতির গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন বলে অভিযোগ। এই নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত।

রগড়া অঞ্চল সভাপতি রঞ্জিত মাইতির দাবি, “ব্লক সভাপতি আমার এলাকায় অবৈধ বালি খাদানে প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছিলেন। প্রতিবাদ করায় আমাদের লোকজনকেই মারধর করা হয়।” তৃণমূলের সাঁকরাইল ব্লক সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্র বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন করা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করছে। আইন আইনের পথে চলবে।”

ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি চূড়ামণি মাহাতো বলেন, “ওই এলাকায় সবাই আমাদের দলের লোক। সমস্যা মেটাতে দলীয়স্তরে আলোচনা করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement