ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।
কথাতেই আছে ‘বিপদের বন্ধু’। তার কারণ প্রকৃত বন্ধু তিনিই, যিনি বিপদের দিনেও বন্ধুর পাশে থাকেন। তাঁকে ছেড়ে যান না। কিন্তু সে তো বিপদে পড়ার পরে জানা যাবে। তার আগে আপনার আশপাশে যাঁরা মুখে হাসির রেখা টেনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বা যাঁদের সঙ্গে আপনি সর্বদা উঠছেন-বসছেন, একসঙ্গে কাজ করছেন, এমনকি, ভরসা করে মনের কথাও বলছেন, তাঁদের চিনে নেবেন না? তাঁরা আদৌ আপনার বিশ্বাসের যোগ্য কি না, বুঝবেন কী করে?
১। সুসময়ের সঙ্গী
যাঁকে বন্ধু ভাবছেন, তিনি কি শুধু সুসময়েই পাশে থাকেন? আর পরিস্থিতি জটিল হলেই ‘হাওয়া’ হয়ে যান? তবে সমস্যা আছে। এঁরা আসলে আপনার সঙ্গে থাকেন নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য। বন্ধুত্ব বা আপনার ভাল এঁরা চান না। খাঁটি বন্ধুত্ব হল একটা মজবুত দেওয়ালের মতো। জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়ে এঁরা পাশে থাকেন।
২। আনন্দ না হিংসা
আপনার সাফল্যে আপনার বন্ধু কি খুশি হন? নাকি সাফল্যের খবর শুনলে তাকে ছোট করে দেখান বা বাঁকা মন্তব্য করেন, খেয়াল করুন। আপনার সাফল্যে কি ঈর্ষান্বিত হন আপনার বন্ধু? তা হলে সতর্ক হোন।
৩। ঘুরে ফিরে নিজের কথা
যে কোনও বন্ধুত্বে কথাবার্তার আদান প্রদান হবে সমানে সমানে। কিন্তু যদি দেখেন, আপনার বন্ধু সমস্ত কথাবার্তাকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিজের দিকে টানছেন, তবে সাধু সাবধান! যাঁকে বন্ধু ভাবছেন, তিনি কিন্তু অত্যন্ত আত্মকেন্দ্রিক। আত্মকেন্দ্রিক মানুষেরা কখনওই অন্য দিকের মানুষটির কথা ভাবেন না। তাঁদের অনুভূতিও বোঝেন না। যেটুকু করেন, তা-ও নিজের সুবিধা বুঝে।
৪। যোগাযোগে রূচি নেই
প্রকৃত বন্ধুত্বে দু’তরফেই যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা থাকবে। একতরফা এক জন যোগাযোগ রেখে চলছেন, অন্য জন যোগাযোগ করার প্রয়োজনও মনে করছেন না, তা হলে সেটা বন্ধুত্ব নয়। পরিস্থিতির সাপেক্ষে কোনও এক পক্ষ বার কয়েক নিজের উদ্যোগে যোগাযোগ করতেই পারেন। কিন্তু সেটাই যদি সব সময় চলতে থাকে, তবে ‘বন্ধু’কে বিদায় জানানোই মঙ্গল। কারণ প্রকৃত বন্ধু নিজের গরজেই যোগাযোগ করবেন।
৫। প্রশংসার আড়ালে কী?
বন্ধু কি প্রশংসা করতে গিয়ে কটাক্ষ করছেন। মাঝে মধ্যেই আপনার সমালোচনায় ব্যস্ত? বন্ধুরা যেমন দরকারে সমালোচনা করবেন, তেমনই পরস্পরকে অনুপ্রাণীতও করবেন। মনোবল বৃদ্ধি করবেন। তা যদি না হয়, তবে দূরত্ব তৈরি করুন।