প্রতীকী ছবি
বুধবারও জেলায় সামনে এল আরও দুই করোনা আক্রান্তের। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, নতুন করে দুই আক্রান্ত ভগবানপুর এবং পটাশপুর এলাকার বাসিন্দা। এঁদের মধ্যে ভগবানপুরে আক্রান্ত প্রৌঢ় পরিযায়ী শ্রমিক এবং পটাশপুরের আক্রান্ত একজন মহিলা। তাঁর পরিবারের এক যুবকও সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।দু’জনকেই পাঁশকুড়া বড়মা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ভগবানপুর-১ ব্লকের কাজলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বছর বাহান্নের এক প্রৌঢ় মুম্বাইয়ে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। কয়েকদিন আগে তিনি বাড়ি ফিরে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতো গৃহ নিভৃতাবাসে ছিলেন। মহারাষ্ট্র থেকে ফেরায় তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। এ দিন ওই প্রৌঢ়ের করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে।
অন্য দিকে, পটাশপুর ৫ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মহারাষ্ট্র ফেরত এক যুবকের শরীরে সম্প্রতি করোনা ভাইরাস মিলেছিল। আক্রান্ত যুবকের সংস্পর্শে থাকা তাঁর পরিবারের ২৩ জনকে চণ্ডীপুর করোনা হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। তাঁদেরও লালারসের নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছিল। এদিন ২২ জনের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। তবে আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা তাঁর পরিবারের এক মহিলার করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘জেলায় আরও দুজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। একজন পটাশপুর এবং অন্যজন ভগবানপুর এলাকার বাসিন্দা। দুজনকেই পাঁশকুড়ার করোনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’’
এদিকে, এ দিন থেকেই এগরা পুর এলাকায় আনাজ বাজার সকাল ৬ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এবং অন্য দোকান সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলার সময়সূচি নির্ধারিত করা হয়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত এলাকায় কার্ফু ঘোষণা করেছে পুর প্রশাসন। এ নিয়ে মাইকে প্রাচর করা হয়। এগরার পুর প্রশাসক শঙ্কর বেরা বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা কারণে এই কার্ফু ঘোষনা করা হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, লকডাউন চললেও সম্প্রতি এগরার বাজারে ভিড় বেড়েই চলেছিল।