সরকারি অ্যাপে মিল-ডে মিল নিয়ে তথ্য দেখানোর বদলে ‘নট রিপোর্টেড’ দেখাচ্ছে। —ফাইল চিত্র।
মিড-ডে মিলের সরকারি অ্যাপ থেকে যাবতীয় তথ্য উধাও! তাতে মার্চ মাসের ১৫ তারিখ থেকে বিগত কয়েক বছরের তথ্যে গরমিল হচ্ছে। মিড-ডে মিল প্রকল্প নিয়ে তথ্য ‘এন্ট্রি’ করা থাকলেও তা ‘নট রিপোর্টেড’ দেখাচ্ছে অ্যাপে। এ নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উত্তর দিনাজপুরের শিক্ষকেরা। মিড-ডে মিল নিয়ে কেন্দ্রের তদন্ত শুরু হতেই দুর্নীতি ধামাচাপা দিয়ে তথ্য লোপাট করার অভিযোগ করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের শিক্ষক সংগঠন। যদিও এই অ্যাপের প্রযুক্তিগত রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে বলে দাবি জেলা প্রশাসন তথা শাসক শিবিরের।
এই অ্যাপে আগেও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে সর্বাধিক কয়েক ঘণ্টার জন্য তা বন্ধ ছিল। তবে বেশ কয়েক দিন ধরে ওই অ্যাপে আগের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। যা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ শিক্ষকদের কপালে। জেলার সব স্কুলে এই অ্যাপের তথ্য উধাও হয়ে যাওয়ায় শিক্ষকদের আশাঙ্কা, কেন্দ্রের তরফে তদন্ত হলে তার প্রমাণ হিসাবে তাঁদের হাতে শুধুমাত্র অফলাইন খাতা রয়েছে। কারণ, সরকারি অ্যাপে তথ্য দেখানোর বদলে ‘নট রিপোর্টেড’ দেখাচ্ছে।
যদিও নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক নির্মল বসুর দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল রাজ্যে মিড-ডে মিলের তদন্তে আসতেই তথ্য লোপাট করে দেওয়ার চক্রান্ত করছেন বলেই মনে হচ্ছে আমাদের।’’ শুধু তাই-ই নয়, এই অবস্থায় শিক্ষকদের ঘাড়েই দায় চাপিয়ে তাঁদের দোষী করার প্রয়াস চলছে বলে আশঙ্কা করেছেন সংগঠনের কর্তারা। রায়গঞ্জ করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিতিকণ্ঠ দত্ত বলেন, ‘‘এমন ঘটনা আগে ঘটেনি, তাই একটু দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’’
অন্যান্য শিক্ষকের পাশাপাশি নিজেরাও যে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের নেতারা। তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান বলেন, ‘‘প্রশাসনকে এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। দ্রুত সব তথ্য পুনরায় উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসন ও রাজ্য স্তরে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’’ উত্তর দিনাজপুর জেলায় মিড-ডে মিল প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রবীণ অনুপ সোরেন বলেন, ‘‘এটা অ্যাপের টেকনিক্যাল (প্রযুক্তিগত) সমস্যা। রাজ্য প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’’