শুরুটা হয়েছিল মাহালি দম্পতিকে দিয়ে। ২০১৭ সালে। তার পর এ রাজ্যে এসে একাধিক দলিত-আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন বিজেপির শীর্ষনেতা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার মেদিনীপুর সফরেও তাঁর ব্যতিক্রম হল না।
শনিবার অমিত খাওয়াদাওয়া করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির কর্ণগড় ১০ নম্বর পঞ্চায়েতের বালিজুড়ি গ্রামের সনাতন সিংহের বাড়িতে।
বছর ছাব্বিশের সনাতন পেশায় রাজমিস্ত্রী। বিঘা তিনেক জমিতে চাষও করেন তিনি। স্ত্রী সরস্বতী, মা যমুনা এবং ৩ বছরের মেয়ে সুস্মিতাকে নিয়ে থাকেন তিনি।
সনাতনের মা এবং স্ত্রীই আজ রান্না করেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য। অমিত নিরামিষাশী। তাই তাঁর জন্য বিভিন্ন নিরামিষ পদ রান্না করা হয়েছিল।
সনাতন ও তাঁর পরিবার অমিত, দিলীপ, কৈলাস, মুকুলদের খেতে দিয়েছিলেন মাটির থালার উপর কলাপাতায়।
শনিবারের সেই মধ্যাহ্নভোজে অমিতের পাতে ছিল স্যালাড।
ভাত এবং রুটি— দু’টির আয়োজনই করা হয়েছিল বিজেপি নেতাদের জন্য।
খোসলাশাকও রান্না করা হয়েছিল অমিতের জন্য।
ছিল ৩ রকমের ভাজা। শনিবারের মধ্যাহ্নভোজে অমিতের পাতে পড়েছিল পটলভাজা, উচ্ছেভাজা এবং ঢ্যাঁড়শভাজা।
করা হয়েছিল ২ ধরনের তরকারি। শুক্তো ছাড়াও ফুলকপির তরকারি খেয়েছেন অমিত।
ছিল চাটনি এবং পাপড়।
অমিত-সহ বিজেপি নেতাদের শেষ পাতে পড়েছিল দই এবং নলেল গুড়ের মিষ্টি।
সনাতনের বাড়িতে এই সব খাবার খেয়েই মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সভার উদ্দেশে রওনা দেন অমিত শাহ।