ফাইল চিত্র।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়বে সোমবার। ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে আগুন কী ভাবে লাগছে তা নিশ্চিত না হলেও মৃত ওই রোগীর বেডের তলার দিকে আগুন দেখা গিয়েছিল বলে সূত্রের খবর। মুহূর্তের মধ্যে আগুন বড় আকার নেয়। এটা অক্সিজেনের জন্যই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে রোগীর শরীরে। ৯০ শতাংশের বেশী পুড়ে যান। ময়না তদন্তেও ৯০ শতাংশের বেশি ‘সুপারফিসিয়াল বার্ন’ পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ জেগে থাকলেও আগুন লাগার পরপরই আত্মরক্ষার মরিয়া চেষ্টা সিসিটিভিতে দেখা যায়নি বলে সূত্রের খবর।
ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ অন কল সার্জারির এক চিকিৎসক ওই রোগীকে দেখতে গিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা আছে বলে জানা গিয়েছে। আগুন লাগার পর প্রায় সঙ্গে ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা আগুন নেভাতে ছুটে যান। আগুন নেভানোর কাজে হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছিল কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যে ওই রোগী পুড়ে যান। ওই রোগীর অক্সিজেন চলায় এবং ওয়ার্ডে অক্সিজেনের মাত্রা বেশি থাকার জন্যই অত দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
তবে হাসপাতালের কারওর গাফিলতিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকলে এবং তাতে পুড়ে কী ভাবে অত দ্রুত ওই রোগীর মৃত্যু হল সেই রিপোর্ট জমা পড়বে সোমবার। স্বাস্থ্য ভবনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এবং আগুনে পুড়ে এক কোভিড রোগীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে গঠিত কমিটিতে রয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক অনিরুদ্ধ নিয়োগী, আরজি কর হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সোমনাথ দাস, ডিরেক্টর অব হেল্থ সার্ভিসের নার্সিং সদস্য মনিকা গায়েন।