Teacher

Bratya Basu: ওঁর বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের তদন্ত চলছিল, মেমারির শিক্ষারত্নের মৃত্যুতে বললেন ব্রাত্য

বুধবার দেবীপুরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সুনীলের দেহ। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, পেনশন না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছিলেন সুনীল। এ নিয়েই জবাব ব্রাত্য বসুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২২ ১৮:১২
Share:

সুনীলকুমার দাসের পেনশন নিয়ে কমিটি গঠন ব্রাত্য বসুর। — নিজস্ব চিত্র।

হেয়ার স্কুলের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের তদন্ত চলছিল। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দেবীপুরের রাজবাগান এলাকার বাসিন্দা সুনীলকুমার দাসের মৃত্যু নিয়ে এমনটাই জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর পেনশন না পাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

বুধবার রাজবাগানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সুনীলের ঝুলন্ত দেহ। তাঁর স্ত্রী সাধনা দাস অভিযোগ করেন, পেনশন না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছিলেন সুনীল। এ প্রসঙ্গে ব্রাত্যের বক্তব্য, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখছি বিষয়টা। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সুনীলকুমার দাসকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে শিক্ষারত্ন দেওয়া হয়। ওই মাসেই উনি অবসর নেন। ওই মাসের ১১ তারিখ অর্থাৎ শিক্ষারত্ন পাওয়ার ছ’দিন পর ওঁর বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছিল। তার মধ্যেও ২০২১ সালে বিষয়টি যখন আমাদের কাছে আসে তখন আমরা ওঁর আপৎকালীন পেনশন চালু করি।’’

ব্রাত্য জানান, কিছু দিন আগে তার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘ওই রিপোর্ট আমরাও দেখিনি। কিন্তু এমন একটা মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সেই জন্য আমরা শিক্ষা দফতরের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি এবং তাঁর অধীনে আরও দু’জন সদস্য, বিদ্যালয় শিক্ষা অধিকারের অতিরিক্ত অধিকর্তা এবং ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজরের এক জন প্রতিনিধি অর্থাৎ এর সঙ্গে অর্থ দফতর জড়িয়ে আছে, তাই সেই তিন জনকে নিয়ে আমরা অন্তর্বর্তিকালীন কমিটি গঠন করলাম। তাঁরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে আমাদের রিপোর্ট দেবেন।’’ ব্রাত্যের দাবি, কোথায়, কবে সেই বেনিয়ম শুরু হয়েছিল, তদন্ত চালু হয়েছিল কবে, আপৎকালীন পেনশন কবে চালু হয়েছিল, চূড়ান্ত রিপোর্ট কবে জমা পড়েছিল সব মিলিয়ে রিপোর্ট জমা দেবে ওই কমিটি।

Advertisement

মেমারির দেবীপুরের রাজবাগান এলাকায় বাড়ি হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধানশিক্ষক সুনীলের। সেই বাড়ি থেকেই বুধবার উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। এ নিয়ে সুনীলের স্ত্রী সাধনা বলেন, ‘‘পেনশন না পাওয়ায় তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। কী ভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে উদ্বেগে ভুগছিলেন। অনেক চেষ্টা করেও কিছু হয়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement