সুনীলকুমার দাসের মৃত্যুর খবরে তাঁর বাড়ির সামনে ভিড়। — নিজস্ব চিত্র।
ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধানশিক্ষকের। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে ওই শিক্ষকের বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত শিক্ষকের নাম সুনীলকুমার দাস। শিক্ষকের পরিবারের দাবি, তিন বছর আগে অবসর নিলেও এখনও অবধি পেনশন পাননি সুনীল। তার জেরেই তিনি মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পরিবারের।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দেবীপুরের রাজবাগান এলাকার বাসিন্দা ছিলেন সুনীল। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নানা স্কুলে চাকরি করার পরে কলকাতার হেয়ার স্কুল থেকে বছর তিনেক আগে অবসর নেন তিনি। ২০১৯ সালে তিনি ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মানও পান। বুধবার সকালে ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। সুনীলের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
২০১৯ সালে শিক্ষারত্ন সম্মাননা পান সুনীলকুমার দাস। — নিজস্ব চিত্র।
সুনীলের স্ত্রী সাধনা দাস বলেন, ‘‘পেনশন না পাওয়ায় তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। কী ভাবে সংসার চলবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। অনেক চেষ্টা করেও কিছু হয়নি। ২০১৯ সালে তিনি ‘শিক্ষারত্ন’ পেয়েছিলেন। ওই বছরই তিনি অবসর নেন। তিনি হেয়ার স্কুলের প্রধানশিক্ষক ছিলেন।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের মতে, এলাকায় শিক্ষাবিস্তারে সুনীলের যথেষ্ট অবদান ছিল। তিনি অনেককে পড়াশোনা করতেও সাহায্য করেছেন। তাঁর এই পরিণতিতে ভেঙে পড়েছেন আশপাশের বাসিন্দারা।
এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখছি বিষয়টা। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সুনীলকুমার দাসকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে শিক্ষারত্ন দেওয়া হয়। ওই মাসেই উনি অবসর নেন। ওই মাসের ১১ তারিখ অর্থাৎ শিক্ষারত্ন পাওয়ার ছ’দিন পর ওঁর বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছিল। তার মধ্যেও ২০২১ সালে বিষয়টি যখন আমাদের কাছে আসে তখন আমরা ওঁর আপৎকালীন পেনশন চালু করি।’’