প্রতীকী চিত্র
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু করে দিল পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন। ঘটনাচক্রে এ বারের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। এক দিকে দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান, অন্য দিকে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জনসভা-- সব মিলিয়ে বেশ সরগরম পশ্চিম মেদিনীপুরের রাজনীতি। এরই মধ্যে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও শুরু হল এই জেলা থেকেই।
রাজ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার কথা আর কয়েক দিনের মধ্যেই। এ বারের ভোট যেহেতু করোনা পরিস্থিতিতে, তাই ভোটারদের মধ্যে দূরত্ববিধি বজায় রাখা প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ভিড় এড়াতে তাই বুথ পিছু ভোটার সংখ্যা কমাতে হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বেড়েছে বুথের সংখ্যা। বাড়ছে বুথ পিছু কর্মীদের সংখ্যাও। মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এ বারের নির্বাচনে জেলায় বুথ বেড়ে হতে চলেছে ৫৩৯৮। প্রতি বুথে ৪ জন করে ভোটকর্মী প্রয়োজন। তা ছাড়া অতিরিক্ত আরও ২০ শতাংশ ভোটকর্মী রিজার্ভে থাকবেন। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ‘মাস্টার ট্রেনিং’ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আর এখন ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। মেদিনীপুর শহরের ৪ জায়গায় এবং মহকুমা স্তরে হবে ওই প্রশিক্ষণ।
ইতিমধ্যে ভোটকর্মীদের চিঠি পাঠানোর ব্যবস্থা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন দফতরের এক আধিকারিক। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চের মধ্যে ১০ দিন ধরে চলবে ওই প্রশিক্ষণ। পুরুষ ও মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে পৃথক ভাবে। প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সব রকম করোনা বিধি মানা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে জেলা নির্বাচন দফতর।
করোনা পরিস্থিতিতে ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে কী ধরনের নিয়ম মানতে হবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হবে ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে। খড়গপুর মহকুমায় ৮টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে, মেদিনীপুর মহকুমায় ৩টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং ঘাটাল মহকুমায় ৪টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে।