প্রতীকী ছবি।
নার্সিংহোমে রোগী মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ না থাকলেও হৃদরোগে আক্রান্তকে কী ভাবে ভর্তি নেওয়া হল, প্রশ্ন রোগীর আত্মীয়দের। তারকেশ্বর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে বুকে যন্ত্রণা নিয়ে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন বিশ্বনাথ রায় নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ, তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের এক চিকিৎসক হাসপাতাল থেকে ওই রোগীকে স্থানীয় একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করাতে বলেন। মঙ্গলবার সকালে জানা যায় বিশ্বনাথের মৃত্যু হয়েছে।
এর পরেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়েরা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে তারকেশ্বরের পদ্মপুকুরের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে তারকেশ্বর থানার পুলিশ। রোগীর আত্মীয়দের তরফ থেকে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে থানায় এবং বিডিও কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
মৃত রোগীর আত্মীয় শ্যামল শীলের অভিযোগ, নার্সিংহোমে কোনও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ না থাকলেও, হৃদরোগে আক্রান্ত তাঁদের আত্মীয়কে ভর্তি নেয় ওই নার্সিংহোম। যদিও নার্সিংহোমের পরিকাঠামো এবং পরিষেবার কোনও ত্রুটি নেই বলে দাবি বেসরকারি হাসপাতালটির কর্ণধার সৌরভপ্রকাশ মাইতির। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, ডাক্তার নেই জেনেও কেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হল? যদিও ওই চিকিৎসকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।