BJP

BJP Hooghly: মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার পর এ বার হুগলি, জেলা সভাপতিতে অনাস্থা জানিয়ে গণ ইস্তফা

অভিযোগ, সভাপতি তুষার মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত, দুষ্কৃতীদের দিয়ে দল চালাচ্ছেন। বাদ বিজেপির দীর্ঘদিনের কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুগলি শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৪৭
Share:

ফাইল ছবি।

মুর্শিদাবাদ, নদিয়া হয়ে এ বার ক্ষোভের আঁচ পৌঁছল হুগলি বিজেপিতে। গণ ইস্থফার হুঁশিয়ারি। জেলা সভাপতি ও জেলার সাধারণ সম্পাদকের দল পরিচালনায় অনাস্থা জানিয়ে হুগলিতে বিজেপি নেতা-কর্মীদের গণইস্তফার সিদ্ধান্ত। তাঁদের অভিযোগ, সভাপতি তুষার মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ অর্থপাচারে অভিযুক্ত, দুষ্কৃতীদের দিয়ে দল চালাচ্ছেন। বাদ গিয়েছেন বিজেপির দীর্ঘদিনের নেতা কর্মীরা।

ক্ষোভের আঁচ ছিলই। তাই দু’দিন আগে মণ্ডল সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ করেও প্রত্যাহার করা করেছিল বিজেপি। মঙ্গলবার হুগলি সাংগঠনিক জেলার ত্রিশটি বিজেপি মণ্ডলের সভাপতিদের নাম ঘোষণা করার পরেই ক্ষোভ দেখা গেল দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে। তাঁদের হুঁশিয়ারি গণপদত্যাগের। বুধবার বিজেপির জেলা দফতরে গিয়ে গণইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রাক্তন এক মণ্ডল সভাপতি সন্দীপ সাধুখাঁ বলেন, ‘‘যাঁদের মণ্ডল সভাপতি করা হয়েছে, তাঁরা দলের কোনও কাজকর্মে থাকেন না। আগে দলের কোনও পদে থাকলে তাঁকেই মণ্ডলের সভাপতি করা হত। এ ক্ষেত্রে তা-ও মানা হয়নি। মানা হয়নি বয়সের সীমাও। রাজ্য নেতৃত্বের সমস্ত নির্দেশ অমান্য করে জেলা সভাপতি তাঁর পেটুয়া লোকদের দিয়ে দল চালাচ্ছেন।’’ হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘নতুন জেলা সভাপতি হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য সব পদ লোপ পায়। আবার নতুন করে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সরে যেতে হবে। এতে হয়তো কারও দুঃখ হতে পারে। বাইরে ক্ষোভ না দেখিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা করলে ভাল। আর পদ থাকলে তবে তো ইস্তফা!’’
গত কয়েকদিন ধরে অন্দরের কোন্দলে ব্যতিব্যস্ত বিজেপি। মুর্শিদাবাদ থেকে দুই বিধায়ক-সহ আরও কয়েক জন দলের সংগঠনের সমস্ত পদ থেকে সরে যাওয়ার পর নদিয়াতেও গণইস্তফার ঘটনা ঘটে। এ বার গণইস্তফার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল হুগলিতেও। সব মিলিয়ে, অন্দরের কোন্দল সামলাতে নাজেহাল বঙ্গ বিজেপি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement