আইনি লড়াইয়ে চিকিৎসা বর্জ্য নিয়ে অচলাবস্থা 

রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতাল, নার্সিংহোম, পলিক্লিনিক, ডাক্তারদের চেম্বার— সর্বত্র চিকিৎসা বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স নিতে হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাতারাতি সংস্থার ডিরেক্টর বদল হয়েছে। যাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা এখন আদালতের দ্বারস্থ।

Advertisement

আর এই আইনি লড়াইয়ের মধ্যে উত্তরবঙ্গের আটটি জেলার চিকিৎসা বর্জ্য নষ্ট বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার প্রক্রিয়া পড়েছে প্রশ্নের মুখে। শিলিগুড়ির ফুলবাড়িতে ওই সংস্থার কারখানায় বর্জ্যের স্তূপ জমছে বলে শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ।

রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতাল, নার্সিংহোম, পলিক্লিনিক, ডাক্তারদের চেম্বার— সর্বত্র চিকিৎসা বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স নিতে হয়। স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদিত ফুলবাড়ির ওই সংস্থা উত্তরবঙ্গের আটটি জেলা জুড়ে এই কাজ করে। বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের বর্জ্য তুলে ফুলবাড়ির কারখানায় এনে হয় নষ্ট করে দেওয়া হয় অথবা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা হয়।

Advertisement

আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী জানান, গত ২৪ অগস্ট সংস্থার ডিরেক্টর লক্ষ্মী তাঁতিয়া, বিনোদ অজিত সারিয়ার নাম বদলে ডিরেক্টর হিসেবে ঢুকে গিয়েছে রমাকান্ত বর্মণ ও অরুণোদয় অধিকারীর নাম। বিনীতা বর্মণ আগে ডিরেক্টর ছিলেন, পরেও রয়ে গিয়েছেন। সল্টলেক ও শিলিগুড়ি পুলিশের সাইবার শাখায় অভিযোগ করেন লক্ষ্মীদেবী ও বিনোদ। কোম্পানি ট্রাইবুনালে মামলা শুরু হয়।

তার পরেও ফুলবাড়ির কারখানার দখল থেকে যায় বিনোদদের হাতে। আর গন্ডগোল সেখানেই। অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিকিৎসা বর্জ্য তুলে ফুলবাড়িতে আনার পথে রাস্তায় বর্জ্যভর্তি গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। কখনও ২৪ ঘণ্টা, কখনও কখনও তারও বেশি সময় রাস্তায় আটকে থাকে বর্জ্যের গাড়ি। একই সঙ্গে অভিযোগ উঠছে, নতুন ডিরেক্টরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এক দল লোক গত ১২ নভেম্বর ফুলবাড়ির কারখানায় ঢুকে গন্ডগোল বাধিয়ে দেয়। তার পর থেকে আতঙ্কে ভুগছেন কর্মীদের একাংশ।

রমাকান্তের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘অন্য পক্ষের আট শতাংশ শেয়ার রয়েছে। তাদের সঙ্গে মামলা চলছে। এই সংস্থার নামেই উত্তরবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা বর্জ্য তোলার পরিষেবা দেওয়া হয়।’’ তিনি জানান, ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ফুলবাড়ির প্লান্ট দখলে রেখেছিল অন্য পক্ষ। এখন সেটি দেখাশোনা করছে ওই সংস্থাই। পরিষেবা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ, কোচবিহার ও মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement