পার্থকে এমসে ভর্তি করা হবে কি না, এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকেরা। ফাইল চিত্র।
ভুবনেশ্বর এমসে বিশদ স্বাস্থ্যপরীক্ষা চলছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বাংলার মন্ত্রীকে ঢোকানো হয় ওড়িশার হাসপাতালে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয়ে যায় পরীক্ষানিরীক্ষা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমেই মন্ত্রীর ওজন, নাড়ির গতি, রক্তচাপ ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। পার্থকে চিকিৎসকেরা জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর কী কী শারীরিক সমস্যা হচ্ছে। তিনি সমস্যার কথা জানান। পরে তাঁর হৃদ্যন্ত্রের ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম ইত্যাদি করানো হয়। নানা ধরনের রক্তপরীক্ষাও করা হচ্ছে।
ভুবনেশ্বর এমসের ডিরেক্টর আশুতোষ বিশ্বাস জানিয়েছেন, পার্থের জন্য চার সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁরা মন্ত্রীর শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন। এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন মন্ত্রীর যে সব ডাক্তারি পরীক্ষা হয়, সে সবের রিপোর্টও দেখা হয়। তবে সব পরীক্ষাই আবার নতুন করে করা হচ্ছে এমসে। রিপোর্ট এলেই আলোচনায় বসবে মেডিক্যাল বোর্ড। এসএসকেএমে পার্থের চিকিৎসা করেছিলেন যে চিকিৎসকেরা, তাঁদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। এসএসকেএমের একাধিক চিকিৎসকও ভুবনেশ্বর গিয়েছেন পার্থের সঙ্গে। সমস্ত ডাক্তারি রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর ঠিক হবে ভর্তি রেখে পার্থের চিকিৎসা করা হবে কি না। তার পর দু’পক্ষের আইনজীবীকে সমস্ত তথ্য দেবেন তাঁরা। দুপুর তিনটের মধ্যে যাতে সব রিপোর্ট তৈরি করে ফেলা যায়, তার চেষ্টা চলছে।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শনিবার ইডির হাতে গ্রেফতারের পরই নিম্ন আদালতের নির্দেশে এসএসকেএমে ভর্তি হন ‘অসুস্থ’ পার্থ। কিন্তু তিনি সুস্থ নাকি অসুস্থ, রবিবার এ নিয়ে দীর্ঘ সওয়াল-জবাব চলে কলকাতা হাই কোর্টে। ইডি বনাম মন্ত্রীর আইনজীবীদের সওয়ালের পর বিচারপতি বিবেক চৌধুরী নির্দেশ দেন, সোমবার ভোরে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে পার্থকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে যেতে হবে।
পাশাপাশি, এমস ভুবনেশ্বরকে নির্দেশ দেওয়া হয়— কার্ডিয়োলজি, নেফ্রোলজি, মেডিসিন, এন্ড্রোক্রিনোলজি বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে দল তৈরি করতে হবে। তাঁরাই পার্থের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করবেন। সোমবার বেলা ৩টের মধ্যে এমস ভুবনেশ্বরকে পার্থের শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্টের প্রতিলিপি তদন্তকারী আধিকারিক, এসএসকেএম হাসপাতাল এবং পার্থের আইনজীবীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তা ছাড়া, মন্ত্রীকে কোর্টে হাজির করার জন্য ভার্চুয়াল মাধ্যমের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ রয়েছে ইডি আধিকারিকদের উপর।