শুভেন্দু অধিকারী ও অধীর চৌধুরী।
বহরমপুরে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠকে কি মুখোমুখি হবেন অধীর চৌধুরী এবং শুভেন্দু অধিকারী? এমন প্রশ্নই আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে।
অধীরের উদ্যোগে এ বারই প্রথম বহরমপুরে পিএসি-র বৈঠক হচ্ছে। বৈঠকের আগে বহরমপুরের ৫ বারের সাংসদ অধীর জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় সবচেয়ে বেশি এবং উৎকৃষ্ট মানের পাট উৎপন্ন হয়। তাই এ বারের পিএসি-র বৈঠকে তিনি জেলার পাট চাষের উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ করতে চান। সেই সুবাদেই জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া-কেও এই বৈঠকে তলব করা হয়েছে।
সম্প্রতি জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব নিয়েছেন নন্দীগ্রামের পদত্যাগী বিধায়ক। তাই পদাধিকার বলে এই বৈঠকে তাঁর যোগদানের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর তরফে এখনও সুবজ সঙ্কেত পাওয়া যায়নি। তবে নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর ওই বৈঠকে তাঁর উপস্থিতির সম্ভাবনাও জোরালো হচ্ছে।
রাজ্য রাজনীতিতে অধীর-শুভেন্দুর সাম্প্রতিক সম্পর্ক ‘মধুর’ বলেই সকলে জানেন। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক থাকাকালীন শুভেন্দু একা হাতে ‘তছনছ’ করে দিয়েছিলেন অধীর-গড়। জেলা পরিষদ থেকে পুরসভা, কংগ্রেসের প্রতীকে জেতা জনপ্রতিনিধিদের একে একে তৃণমূলে এনে অধীরকে মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কোণঠাসা করে দিয়েছিলেন। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে কাঁথিতে প্রচারে গিয়ে শুভেন্দুকেও পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছিলেন অধীর। বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূল ছাড়তে চেয়ে আমার হাত ধরেই রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন শুভেন্দুবাবু।’’ রেষারেষির জের চলেছিল লোকসভা ভোটেও। মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে দু’টি আসন জিতে অধীরকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু সেই শুভেন্দু এখন দলবদলু হয়ে বিজেপিতে। প্রায় রোজই বিজেপি-র কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। নতুন দলে গিয়েই পেয়েছেন জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদ। সেই পদাধিকার বলেই এখন বহরমপুরের পিএসি বৈঠকে যোগ দেওয়ার তলব পেয়েছেন। কিন্তু সেই বৈঠকে তিনি আদৌ যোগ দেবেন কি না, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
আরও পড়ুন:‘বিনামূল্যে টিকা পৌঁছে দেওয়া হবে’, পুলিশের মোবাইলে মমতার বার্তা
আরও পড়ুন: নিজের ঢাকে নিজেই কাঠি, ‘অবাঙালিত্ব’ মুছতে কৈলাসের ঢাক কা নিনাদ