কত জন পড়ুয়া খেয়েছে, তার হিসেব অ্যাপে ‘এন্ট্রি’ করলে উত্তর আসছে ‘নট রিপোর্টেড’! প্রতীকী ছবি।
বেঁকে বসেছে অ্যাপ! স্কুলে কত জন পড়ুয়া মিড-ডে মিল খাচ্ছে, প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তরফে তার হিসেব একটি অ্যাপের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠাতে হয়। স্কুলপ্রধানদের একাংশের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরে ওই অ্যাপ অদ্ভুত আচরণ করছে। কত জন পড়ুয়া খেয়েছে, তার হিসেব ওই অ্যাপে ‘এন্ট্রি’ করলে উত্তর আসছে ‘নট রিপোর্টেড’! এর ফলে তাঁরা যে-হিসেব পাঠাচ্ছেন, তার কোনও প্রমাণ থাকছে না। পরবর্তী কালে কেউ হিসেব চাইলে কী ভাবে তাঁরা সেই খতিয়ান দেবেন, প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান শিক্ষকেরা।
বর্তমানে মিড-ডে মিলের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে কেন্দ্রের অডিট দল বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরছে। এই পরিস্থিতিতে অ্যাপ-বিভ্রাট নানা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। হিসেবে গোলমাল হলে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপরেই দায় বর্তাবে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে। পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির রাজ্য সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, ‘‘কত জন পড়ুয়াকে খাওয়ানো হল, তার বিল তৈরি করতে হয়। ‘নট রিপোর্টেড’ হলে বিল তৈরিতে সমস্যা হতে পারে। কেন্দ্রীয় অডিট টিম যদি আমাদের কাছে রিপোর্ট চায়, তা হলে আমরা হিসেব করব কী ভাবে?’’
রাজ্যের মিড-ডে মিল বিভাগের এক কর্তা বলেন, ‘‘যে-সার্ভারের মাধ্যমে এই অ্যাপটি চলে, সেই সার্ভার আপডেট করার কাজ চলছে। তাই আপাতত কিছু দিনের জন্য ‘নট রিপোর্টেড’ দেখাচ্ছে। এটা প্রযুক্তিগত সমস্যা। আশা করা হচ্ছে, এই সমস্যা দু’-এক দিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে।’’
তবে এই ব্যাখ্যা প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকে মানতে চাইছেন না। তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্রের অডিট টিম ১৭ মার্চ থেকে রাজ্যে ঘুরছে। অ্যাপে নট রিপোর্টেড দেখাচ্ছে তার ঠিক দু’দিন আগে থেকে। মিড-ডে মিলের খরচের ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র। রাজ্য দেয় ৪০ শতাংশ। কেন্দ্র ও রাজ্যের এই খরচের দায়িত্ব বণ্টনের মধ্যে কোথাও কোনও গরমিল নেই তো? তাই কেন্দ্রের অডিট টিম রাজ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপটি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠতে পারে, জাগতে পারে সন্দেহ।